অনেকে ভেবেছিল, আকাশে উড়ে কী লাভ? বিশ শতকের শুরুর দিকে, পৃথিবী তখন সংঘাতে লিপ্ত। বিশ্ব অর্থনীতিতে তুমুল পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো শিল্পায়ন। তখন বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে বাঁচতেই আপ্রাণ চেষ্টা করছিল মানুষ, তখন আকাশে ওড়ার মতো শখ পূরণ খুব জরুরি মনে হয়নি অনেকের কাছে।
ফাতিন নূর অবনি
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৩ এএমআপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৪ পিএম
১৯০৩ সালের ১৭ই ডিসেম্বর সফলভাবে আকাশে ওড়ে রােইট ব্রাদার্সের ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজ
আকাশে পাখির মুক্ত ওড়াউড়ি দেখতে দেখতে ওড়ার স্বপ্ন দেখেছে মানুষ। সূর্যের খুব কাছে উড়ে যাওয়া ইকারাস থেকে শুরু করে আরব্য রূপকথার ম্যাজিক কার্পেট। কিংবা গ্রিক পুরাণের উড়ন্ত ঘোড়া পেগাসাস। রূপকথা আর লোককাব্যের কল্পনার জগতে মানুষ উড়ে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখেছে বহু আগে থেকেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে বেড়ে ওঠা দুই ভাই, উইলবার রাইট ও অরভিল রাইট। আকাশে উড়ে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তারাও। তবে স্বপ্ন দেখে ক্ষান্ত হননি। লেগে গিয়েছিলেন স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে।
সেই স্বপ্ন বাস্তব হয় আজ থেকে ১২২ বছর আগে, ১৯০৩ সালে। ওই বছর ১৭ই ডিসেম্বর প্রথম আকাশে ওড়ে দুই ভাই। ইতিহাস তাদের মনে রেখেছে রাইট ব্রাদার্স বা রাইট ভ্রাতৃদ্বয় নামে।
অবশ্য রাইট ব্রাদার্সদের আগেও অনেকে আকাশ জয়ের চেষ্টা করেছিল। শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন পূরণ হয় ১৯০৩ সালের ১৭ই ডিসেম্বর।
কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণের আগ পর্যন্ত কেউ বিশ্বাস করতে চায়নি। খুব বেশি মানুষ জানতোও না, যারা জানত তারা আবার বিশ্বাস করেনি। সংবাদমাধ্যমগুলোও ঘটনাটি এড়িয়ে যায়। মানব ইতিহাসের প্রথম ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজ নর্থ ক্যারোলাইনার সমুদ্র পাড়ের শহর কিটি হককে এসে যখন নামলো, তখন সেখানে হাজির ছিলেন মাত্র পাঁচজন।
তখনও কারও বিশ্বাস হচ্ছিল না, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের উড়ে বেড়ানোর স্বপ্ন এখন বাস্তব। কারণ এর আগেওতো চেষ্টা করেছেন অনেকেই। মোনালিসার জন্য বিখ্যাত লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চিও তাদের একজন। পাখিকে উড়তে দেখে ওড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি নিজেও।
তারও আগে একজন ব্যক্তি চেষ্টা করেছিলেন। আব্বাস ইবনে ফিরনাস নামে সেই আন্দালুসিয়ান স্কলার নবম শতকে কিছুক্ষণ উড়তেও পেরেছিলেন। কোনো ইঞ্জিন ছাড়া পালক দিয়ে বানানো ডানা অবশ্য বেশি দূর নিতে পারেনি তাকে। কারণ ডানা থাকলেও লেজ ছিল না সেই ডিজাইনে।
আকাশে ওড়ার চেষ্টা করা আরেকজন উল্লেখযোগ্য মানুষ জর্জ কেলি। আজকের বিমানবিদ্যার ধারণা এসেছে এই ব্রিটিশ উদ্ভাবকের কাছ থেকেই। ১৭ শতকের শেষদিকে তিনিই প্রথম আকাশে ওড়ার চারটি মূল ভিত্তি ঠিক করতে পেরেছিলেন। লিফট, ওয়েইট, থ্রাস্ট এবং ড্র্যাগ।
আধুনিক বিমানের ধারণা দিতে পারলেও, তিনি মূলত কাজ করেছিলেন গ্লাইডার বা ইঞ্জিন ছাড়া বিমান নিয়ে। জর্জ কেলিই প্রথম দেখিয়েছিলেন কীভাবে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন সত্যি হতে পারে।
কেলি না পারলেও তার নকশা সফলভাবে কাজে লাগায় রাইট ব্রাদার্স। প্রথম ইঞ্জিনচালিত বিমান উড়িয়ে আকাশে বিমানের নিয়ন্ত্রণ শিখিয়েছিলেন উইলবার রাইট ও অরভিল রাইট। তিন অক্ষের যে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তারা তৈরি করেছিলেন, তা আজও আধুনিক বিমানের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মূল ভিত্তি।
জর্জ কেলি ছাড়াও রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের এই যাত্রায় প্রেরণা জুগিয়েছিল আরেক উদ্ভাবকের মৃত্যু। ১৮৯০ এর দশকে জার্মান উদ্ভাবক অটো লিলিয়েন্থ্যাল উড্ডয়নের নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীলতার উপর গুরুত্ব দিয়ে হাজার হাজার সফল গ্লাইডার তৈরি করেছিলেন। এ কারণে তাকে গ্লাইডার কিং ডাকা হয়।
তিনি গ্লাইডারগুলো পরীক্ষা করতেন পাহাড় থেকে ঝাঁপ দিয়ে। কারণ বিশ্বাস করতেন শুধু তত্ত্ব দিয়ে হবে না, মানুষকে পাখির মতো উড়তে শিখতে হবে। শেষ পর্যন্ত ১৮৯৬ সালে এমনই এক গ্লাইডার দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
এই মৃত্যু রাইট ব্রাদার্সের জন্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। আকাশে ওড়ার জেদ চেপে বসে। শেষ পর্যন্ত উইলবারের ধীরস্থির ও দূরদর্শী মনোভাব আর ছোটভাই অরভিলের কৌতুহল ও তাদের বহু বছরের সাধনা থেকে আসে অসামান্য এই আবিষ্কার।
১৯০৩ সালের ১৭ই ডিসেম্বর সফলভাবে ওড়ান প্রথম ইঞ্জিনচালিত বিমান। সেটার নাম ছিলো রাইট ফ্লাইয়ার। সেদিন বিমানটি উড়েছিলো মোট চারবার। প্রথমবার উড়েছিলো ১২ সেকেন্ড, শেষবার উড়েছিলো ৫৯ সেকেন্ড, পাড়ি দিতে পেরেছিলো ৮৫২ ফুট।
আবিস্কার হওয়ার পরও অনেকে ভেবেছিল, আকাশে উড়ে কী লাভ? বিশ শতকের শুরুর দিকে, পৃথিবী তখন সংঘাতে লিপ্ত। বিশ্ব অর্থনীতিতে তুমুল পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো শিল্পায়ন। তখন বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে বাঁচতেই আপ্রাণ চেষ্টা করছিল মানুষ, তখন আকাশে ওড়ার মতো শখ পূরণ খুব জরুরি মনে হয়নি অনেকের কাছে।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেরও কেউ এই উদ্ভাবনে আগ্রহ দেখাননি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ১৯০৮ সালে তারা মার্কিন সরকারের সাথে একটি চুক্তি করতে পারেন। বিমান চালনার ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম সামরিক চুক্তি।
তখনও বিশ্বের চোখে পরিচিত হতে পারছিলো না দুই ভাই ও তাদের এই অকল্পনীয় উদ্ভাবন। শুধু তা না, ফরাসি পত্রিকাগুলো দুই ভাইকে ‘ব্লাফার’ বা ‘প্রতারক’ ডেকে ব্যঙ্গ করছিলো।
মূল আবিস্কারের পাঁচ বছর পরে, অর্থাৎ ১৯০৮ সালের ৮ই অগাস্ট সব কিছু পাল্টে যায়। সেদিন ফ্রান্সের ল্য মঁস শহরে উইলবার রাইট দেখিয়ে দেন তার উদ্ভাবনের প্রমাণ। উপস্থিত জনতাকে তাক লাগিয়ে শহরের পাশের একটি মাঠ থেকে বিমান উড়িয়ে দেখালেন। মূহূর্তেই সব সমালোচনা প্রশংসায় রূপ নিলো। বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পান রাইট ভ্রাতৃদ্বয়।
যেভাবে আকাশে উড়তে শিখেছিল মানুষ
অনেকে ভেবেছিল, আকাশে উড়ে কী লাভ? বিশ শতকের শুরুর দিকে, পৃথিবী তখন সংঘাতে লিপ্ত। বিশ্ব অর্থনীতিতে তুমুল পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো শিল্পায়ন। তখন বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে বাঁচতেই আপ্রাণ চেষ্টা করছিল মানুষ, তখন আকাশে ওড়ার মতো শখ পূরণ খুব জরুরি মনে হয়নি অনেকের কাছে।
আকাশে পাখির মুক্ত ওড়াউড়ি দেখতে দেখতে ওড়ার স্বপ্ন দেখেছে মানুষ। সূর্যের খুব কাছে উড়ে যাওয়া ইকারাস থেকে শুরু করে আরব্য রূপকথার ম্যাজিক কার্পেট। কিংবা গ্রিক পুরাণের উড়ন্ত ঘোড়া পেগাসাস। রূপকথা আর লোককাব্যের কল্পনার জগতে মানুষ উড়ে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখেছে বহু আগে থেকেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে বেড়ে ওঠা দুই ভাই, উইলবার রাইট ও অরভিল রাইট। আকাশে উড়ে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তারাও। তবে স্বপ্ন দেখে ক্ষান্ত হননি। লেগে গিয়েছিলেন স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে।
সেই স্বপ্ন বাস্তব হয় আজ থেকে ১২২ বছর আগে, ১৯০৩ সালে। ওই বছর ১৭ই ডিসেম্বর প্রথম আকাশে ওড়ে দুই ভাই। ইতিহাস তাদের মনে রেখেছে রাইট ব্রাদার্স বা রাইট ভ্রাতৃদ্বয় নামে।
অবশ্য রাইট ব্রাদার্সদের আগেও অনেকে আকাশ জয়ের চেষ্টা করেছিল। শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন পূরণ হয় ১৯০৩ সালের ১৭ই ডিসেম্বর।
কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণের আগ পর্যন্ত কেউ বিশ্বাস করতে চায়নি। খুব বেশি মানুষ জানতোও না, যারা জানত তারা আবার বিশ্বাস করেনি। সংবাদমাধ্যমগুলোও ঘটনাটি এড়িয়ে যায়। মানব ইতিহাসের প্রথম ইঞ্জিনচালিত উড়োজাহাজ নর্থ ক্যারোলাইনার সমুদ্র পাড়ের শহর কিটি হককে এসে যখন নামলো, তখন সেখানে হাজির ছিলেন মাত্র পাঁচজন।
তখনও কারও বিশ্বাস হচ্ছিল না, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের উড়ে বেড়ানোর স্বপ্ন এখন বাস্তব। কারণ এর আগেওতো চেষ্টা করেছেন অনেকেই। মোনালিসার জন্য বিখ্যাত লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চিও তাদের একজন। পাখিকে উড়তে দেখে ওড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি নিজেও।
তারও আগে একজন ব্যক্তি চেষ্টা করেছিলেন। আব্বাস ইবনে ফিরনাস নামে সেই আন্দালুসিয়ান স্কলার নবম শতকে কিছুক্ষণ উড়তেও পেরেছিলেন। কোনো ইঞ্জিন ছাড়া পালক দিয়ে বানানো ডানা অবশ্য বেশি দূর নিতে পারেনি তাকে। কারণ ডানা থাকলেও লেজ ছিল না সেই ডিজাইনে।
আকাশে ওড়ার চেষ্টা করা আরেকজন উল্লেখযোগ্য মানুষ জর্জ কেলি। আজকের বিমানবিদ্যার ধারণা এসেছে এই ব্রিটিশ উদ্ভাবকের কাছ থেকেই। ১৭ শতকের শেষদিকে তিনিই প্রথম আকাশে ওড়ার চারটি মূল ভিত্তি ঠিক করতে পেরেছিলেন। লিফট, ওয়েইট, থ্রাস্ট এবং ড্র্যাগ।
আধুনিক বিমানের ধারণা দিতে পারলেও, তিনি মূলত কাজ করেছিলেন গ্লাইডার বা ইঞ্জিন ছাড়া বিমান নিয়ে। জর্জ কেলিই প্রথম দেখিয়েছিলেন কীভাবে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন সত্যি হতে পারে।
কেলি না পারলেও তার নকশা সফলভাবে কাজে লাগায় রাইট ব্রাদার্স। প্রথম ইঞ্জিনচালিত বিমান উড়িয়ে আকাশে বিমানের নিয়ন্ত্রণ শিখিয়েছিলেন উইলবার রাইট ও অরভিল রাইট। তিন অক্ষের যে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তারা তৈরি করেছিলেন, তা আজও আধুনিক বিমানের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মূল ভিত্তি।
জর্জ কেলি ছাড়াও রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের এই যাত্রায় প্রেরণা জুগিয়েছিল আরেক উদ্ভাবকের মৃত্যু। ১৮৯০ এর দশকে জার্মান উদ্ভাবক অটো লিলিয়েন্থ্যাল উড্ডয়নের নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীলতার উপর গুরুত্ব দিয়ে হাজার হাজার সফল গ্লাইডার তৈরি করেছিলেন। এ কারণে তাকে গ্লাইডার কিং ডাকা হয়।
তিনি গ্লাইডারগুলো পরীক্ষা করতেন পাহাড় থেকে ঝাঁপ দিয়ে। কারণ বিশ্বাস করতেন শুধু তত্ত্ব দিয়ে হবে না, মানুষকে পাখির মতো উড়তে শিখতে হবে। শেষ পর্যন্ত ১৮৯৬ সালে এমনই এক গ্লাইডার দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
এই মৃত্যু রাইট ব্রাদার্সের জন্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। আকাশে ওড়ার জেদ চেপে বসে। শেষ পর্যন্ত উইলবারের ধীরস্থির ও দূরদর্শী মনোভাব আর ছোটভাই অরভিলের কৌতুহল ও তাদের বহু বছরের সাধনা থেকে আসে অসামান্য এই আবিষ্কার।
১৯০৩ সালের ১৭ই ডিসেম্বর সফলভাবে ওড়ান প্রথম ইঞ্জিনচালিত বিমান। সেটার নাম ছিলো রাইট ফ্লাইয়ার। সেদিন বিমানটি উড়েছিলো মোট চারবার। প্রথমবার উড়েছিলো ১২ সেকেন্ড, শেষবার উড়েছিলো ৫৯ সেকেন্ড, পাড়ি দিতে পেরেছিলো ৮৫২ ফুট।
আবিস্কার হওয়ার পরও অনেকে ভেবেছিল, আকাশে উড়ে কী লাভ? বিশ শতকের শুরুর দিকে, পৃথিবী তখন সংঘাতে লিপ্ত। বিশ্ব অর্থনীতিতে তুমুল পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো শিল্পায়ন। তখন বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে বাঁচতেই আপ্রাণ চেষ্টা করছিল মানুষ, তখন আকাশে ওড়ার মতো শখ পূরণ খুব জরুরি মনে হয়নি অনেকের কাছে।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেরও কেউ এই উদ্ভাবনে আগ্রহ দেখাননি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ১৯০৮ সালে তারা মার্কিন সরকারের সাথে একটি চুক্তি করতে পারেন। বিমান চালনার ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম সামরিক চুক্তি।
তখনও বিশ্বের চোখে পরিচিত হতে পারছিলো না দুই ভাই ও তাদের এই অকল্পনীয় উদ্ভাবন। শুধু তা না, ফরাসি পত্রিকাগুলো দুই ভাইকে ‘ব্লাফার’ বা ‘প্রতারক’ ডেকে ব্যঙ্গ করছিলো।
মূল আবিস্কারের পাঁচ বছর পরে, অর্থাৎ ১৯০৮ সালের ৮ই অগাস্ট সব কিছু পাল্টে যায়। সেদিন ফ্রান্সের ল্য মঁস শহরে উইলবার রাইট দেখিয়ে দেন তার উদ্ভাবনের প্রমাণ। উপস্থিত জনতাকে তাক লাগিয়ে শহরের পাশের একটি মাঠ থেকে বিমান উড়িয়ে দেখালেন। মূহূর্তেই সব সমালোচনা প্রশংসায় রূপ নিলো। বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পান রাইট ভ্রাতৃদ্বয়।