ভোটের ওপর নির্ভর করছে আপনার আমার সবার ভবিষ্যৎ: প্রধান উপদেষ্টা

“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি শুরু থেকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”

আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১০ পিএম

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের উপর বাংলাদেশের মানুষের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

মঙ্গলবার বিজয় দিবসের সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, “ভোটের ওপর নির্ভর করছে আপনার আমার সবার ভবিষ্যৎ। আপনার আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ। যোগ্য লোককে ভোট দিন। জাতির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করুন।”

তফসিল ঘোষণার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়া মুহাম্মদ ইউনূসের এটাই প্রথম ভাষণ।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে দিন ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, নির্বাচনকে কার্যকর ও নিরপেক্ষ করতে মাঠপ্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনে কিছু রদবদল করা হয়েছে।

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে স্বতন্ত্র প্রশাসনিক কাঠামোসহ পৃথক সচিবালয় গঠনের কথাও বলেন তিনি।

ভাষণে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থা নিয়ে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি শুরু থেকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতি তার অবিচল অঙ্গীকার, দেশের উন্নয়নে তার অবদান এবং তার প্রতি জনগণের শ্রদ্ধাময় আবেগ বিবেচনায় নিয়ে সরকার ইতোমধ্যেই তাকে রাষ্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।”

তিনি বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পরিবারের ইচ্ছাকে সম্মান দেখিয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। দেশে চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজনে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ সব বিষয় বিবেচনায় রয়েছে।”

গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মূখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলা বিষয় ভাষণে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান।   

“যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”

হাদির চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলার কথা উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক একটি মামলার রায় ইতোমধ্যে ঘোষিত হয়েছে।

‘ভারতে পলাতক শেখ হাসিনা’ ও আসাদুজ্জামান খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ‘সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে’ বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।