কতদিন সরকারি বাসায় থাকতে পারবেন মন্ত্রী উপদেষ্টারা?
বাংলাদেশের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলো নির্ধারণ হয় ১৯৭৩ সালের ‘দ্য মিনিস্টারস, মিনিস্টারস অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টারস (রেমুনারেশান অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট’ অনুযায়ী।
আলাপ রিপোর্ট
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১১ পিএমআপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১১ পিএম
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম পদত্যাগের পরেও কেন সরকারি বাসভবন ছাড়ছেন না, এই নিয়েই চলছে তর্ক বিতর্ক।
সদ্য পদত্যাগ করা দুই উপদেষ্টাকে নিয়ে সয়লাব ফেইসবুক। আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম পদত্যাগের পরেও কেন সরকারি বাসভবন ছাড়ছেন না, এই নিয়েই চলছে তর্ক বিতর্ক।
গত ১০ই ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আসিফ মাহমুদ ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
এর আগেও বেশ কয়েকবার সমালোচনা হয়েছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের এই দুই নেতাকে নিয়ে। তবে চলতি সমালোচনা, কেন পদত্যাগের পরও সরকারি বাসভবনে থাকছেন তারা।
কী বলছে আইন?
বাংলাদেশের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা কী ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন তা আইনে নির্ধারিত আছে। ১৯৭৩ সালের ওই আইনের শিরোনাম ‘দ্য মিনিস্টারস, মিনিস্টারস অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টারস (রেমুনারেশান অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট’।
আইনে সরকারি বাসভবন ব্যবহারের সময়সীমাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
এই আইনের সপ্তম ধারার পাঁচ নাম্বার উপধারায় বলা আছে, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা দায়িত্ব ছাড়ার পর এক মাস পর্যন্ত সরকারি বাসভবনে থাকতে পারবেন। এছাড়া কেউ যদি সরকারি বাসায় না থেকে নিজস্ব কিংবা ভাড়া বাড়িতে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে দায়িত্ব ছাড়ার পর এক মাসের বাড়ি ভাড়া ভাতা পাবেন।
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা হিসাবে কার্যত মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন, তাই তারাও এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা আরও বেশি। আইনও ভিন্ন। এর শিরোনাম, বাংলাদেশ বরাদ্দ বিধিমালা, ১৯৮২। তবে ২০১৭ সালে আইনটি বাংলায় অনুবাদ করা হয় এবং এতে কিছু সংশোধনীও আসে। ২০১৭ সালের বরাদ্দ বিধিমালা অনুযায়ী সরকারী চাকরিজীবীরা ক্ষেত্রবিশেষে দুই থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সরকারি বাসায় থাকতে পারবেন।
পদত্যাগ করা দুই উপদেষ্টা নির্বাচন করবেন কি-না সেই আলোচনাও আছে। এক্ষেত্রে আইন হলো সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে কেউ নির্বাচনি কার্যক্রম চালাতে পারবেন না। পদত্যাগের পর যদি কেউ কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান, সেক্ষেত্রে সরকারি বাসভবনে থাকার মতো সুবিধাগুলো পাবেন না। জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী যেকোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে নির্বাচনের প্রার্থী হওয়া যায় না।
কতদিন সরকারি বাসায় থাকতে পারবেন মন্ত্রী উপদেষ্টারা?
বাংলাদেশের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলো নির্ধারণ হয় ১৯৭৩ সালের ‘দ্য মিনিস্টারস, মিনিস্টারস অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টারস (রেমুনারেশান অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট’ অনুযায়ী।
সদ্য পদত্যাগ করা দুই উপদেষ্টাকে নিয়ে সয়লাব ফেইসবুক। আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম পদত্যাগের পরেও কেন সরকারি বাসভবন ছাড়ছেন না, এই নিয়েই চলছে তর্ক বিতর্ক।
গত ১০ই ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আসিফ মাহমুদ ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
এর আগেও বেশ কয়েকবার সমালোচনা হয়েছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের এই দুই নেতাকে নিয়ে। তবে চলতি সমালোচনা, কেন পদত্যাগের পরও সরকারি বাসভবনে থাকছেন তারা।
কী বলছে আইন?
বাংলাদেশের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা কী ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন তা আইনে নির্ধারিত আছে। ১৯৭৩ সালের ওই আইনের শিরোনাম ‘দ্য মিনিস্টারস, মিনিস্টারস অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টারস (রেমুনারেশান অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট’।
আইনে সরকারি বাসভবন ব্যবহারের সময়সীমাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
এই আইনের সপ্তম ধারার পাঁচ নাম্বার উপধারায় বলা আছে, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা দায়িত্ব ছাড়ার পর এক মাস পর্যন্ত সরকারি বাসভবনে থাকতে পারবেন। এছাড়া কেউ যদি সরকারি বাসায় না থেকে নিজস্ব কিংবা ভাড়া বাড়িতে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে দায়িত্ব ছাড়ার পর এক মাসের বাড়ি ভাড়া ভাতা পাবেন।
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টা হিসাবে কার্যত মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন, তাই তারাও এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা আরও বেশি। আইনও ভিন্ন। এর শিরোনাম, বাংলাদেশ বরাদ্দ বিধিমালা, ১৯৮২। তবে ২০১৭ সালে আইনটি বাংলায় অনুবাদ করা হয় এবং এতে কিছু সংশোধনীও আসে। ২০১৭ সালের বরাদ্দ বিধিমালা অনুযায়ী সরকারী চাকরিজীবীরা ক্ষেত্রবিশেষে দুই থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সরকারি বাসায় থাকতে পারবেন।
পদত্যাগ করা দুই উপদেষ্টা নির্বাচন করবেন কি-না সেই আলোচনাও আছে। এক্ষেত্রে আইন হলো সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে কেউ নির্বাচনি কার্যক্রম চালাতে পারবেন না। পদত্যাগের পর যদি কেউ কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান, সেক্ষেত্রে সরকারি বাসভবনে থাকার মতো সুবিধাগুলো পাবেন না। জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী যেকোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে নির্বাচনের প্রার্থী হওয়া যায় না।