বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বক্তব্য, কূটনৈতিক বার্তায় বাংলাদেশের হাইকমিশনারের হাতে তুলে দিয়েছে।
আলাপ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২৪ পিএমআপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ ২০২৫ সালের ৭ই এপ্রিল ভারতে বাংলাদেশে হাইকমিশনার হিসাবে দায়িত্ব নেন
ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা শঙ্কা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ‘ভারতবিরোধী’ বক্তব্যের জেরে তাকে তলব করা হয়।
বুধবার দিল্লির বার্তা কূটনৈতিক বার্তায় বাংলাদেশের হাইকমিশনারের হাতে তুলে দেয়া হয়। এ নিয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্বেগ জানাতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করা হয়। ‘কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠীর’ কর্মকাণ্ড ও ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি তৈরির পরিকল্পনার ঘোষণার বিষয়ে রিয়াজ হামিদুল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘চরমপন্থী মহল’ যে ভুয়া বয়ান তৈরির চেষ্টা করছে, ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। দুঃখজনকভাবে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এসব ঘটনার বিষয়ে এখনও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করেনি বা ভারতের সঙ্গে কোনো তথ্যপ্রমাণও বিনিময় করেনি।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। এর ভিত্তি গড়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে, পরে যা উন্নয়নমূলক ও দুই দেশের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হয়েছে।
ভারত বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে আছে উল্লেখ করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে থাকা বিভিন্ন ভারতীয় মিশন ও পোস্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলেও বিবৃতিতে প্রত্যাশা জানিয়েছে দিল্লি।
সোমবার ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীসহ ভারতবিরোধী শক্তিগুলোকে আশ্রয় দিতে পারে।”
এছাড়া তিনি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য যাকে 'সেভেন সিস্টার্স' বলা হয়, তা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সহায়তার কথা বলেন।
২০২৪ সালের অগাস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে।
এর আগে দিল্লিতে পলাতক বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনবরত উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় ভারত সরকারের প্রতি গভীর উদ্বেগ জানায় বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে।
একই দিন, আলাদা বিবৃতিতে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে ভারতকে দোষারোপ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি নাকচ করে দিল্লি।
বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বক্তব্য, কূটনৈতিক বার্তায় বাংলাদেশের হাইকমিশনারের হাতে তুলে দিয়েছে।
ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা শঙ্কা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ‘ভারতবিরোধী’ বক্তব্যের জেরে তাকে তলব করা হয়।
বুধবার দিল্লির বার্তা কূটনৈতিক বার্তায় বাংলাদেশের হাইকমিশনারের হাতে তুলে দেয়া হয়। এ নিয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্বেগ জানাতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করা হয়। ‘কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠীর’ কর্মকাণ্ড ও ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি তৈরির পরিকল্পনার ঘোষণার বিষয়ে রিয়াজ হামিদুল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘চরমপন্থী মহল’ যে ভুয়া বয়ান তৈরির চেষ্টা করছে, ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। দুঃখজনকভাবে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এসব ঘটনার বিষয়ে এখনও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করেনি বা ভারতের সঙ্গে কোনো তথ্যপ্রমাণও বিনিময় করেনি।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। এর ভিত্তি গড়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে, পরে যা উন্নয়নমূলক ও দুই দেশের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হয়েছে।
ভারত বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে আছে উল্লেখ করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে থাকা বিভিন্ন ভারতীয় মিশন ও পোস্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলেও বিবৃতিতে প্রত্যাশা জানিয়েছে দিল্লি।
সোমবার ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীসহ ভারতবিরোধী শক্তিগুলোকে আশ্রয় দিতে পারে।”
এছাড়া তিনি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য যাকে 'সেভেন সিস্টার্স' বলা হয়, তা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সহায়তার কথা বলেন।
২০২৪ সালের অগাস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে।
এর আগে দিল্লিতে পলাতক বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনবরত উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় ভারত সরকারের প্রতি গভীর উদ্বেগ জানায় বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে।
একই দিন, আলাদা বিবৃতিতে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে ভারতকে দোষারোপ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি নাকচ করে দিল্লি।