বিশ্বের বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে এমন এক ঝড় উঠেছে, যা পাল্টে দিতে পারে পুরো কাঠামো। ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি বিক্রির ঘোষণা আসার পর- বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের এই সম্পদ কেনার লড়াইয়ে নেমেছে নেটফ্লিক্স, কমকাস্ট ও প্যারামাউন্টের মতো জায়ান্টরা।
শোনা যাচ্ছে, ৮ হাজার ২৭০ কোটি ডলারের বিশাল চুক্তিতে ওয়ার্নার ব্রাদার্স কিনে নিচ্ছে স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্স। ডিসি কমিকস, এইচবিও একীভূত করে বিশাল লাইব্রেরি হয়ে উঠতে যাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি।
তবে এরপর আবারও দৃশ্যপটে আসে প্যারামাউন্ট স্কাইডান্স। ১০ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের ‘হস্টাইল বিড’ করে বসে তারা। তারা অভিযোগ তুলেছে, নেটফ্লিক্স ও ওয়ার্নার ব্রাদার্সের চুক্তি প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়।
বিশাল এই বিনিয়োগের ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের এই যুদ্ধ এখন আর কেবল শুধু চুক্তি নয়, এটি হলিউডের ভবিষ্যৎ, কনটেন্ট-কঠোরতা, স্ট্রিমিং এবং সিনেমা হল ব্যবসার ভবিষ্যতের জন্য বড় টানাপোড়েন।
হলিউডের পাঁচ প্রধান স্টুডিওর একটি হলো ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচার্স। ১৯২৩ সালে হ্যারি, আলবার্ট, স্যামুয়েল এবং জ্যাক ওয়ার্নার- এই চার ভাই মিলে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই স্টুডিও।
বাকি চারটি হলো প্যারামাউন্ট পিকচার্স, সনি পিকচার্স, ইউনিভার্সাল পিকচার্স ও ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস। এর মধ্যে প্যারামাউন্ট ও ইউনিভার্সাল এই ওয়ার্নার ব্রাদার্স কিনে নেওয়ার জন্য দর হেঁকেছিল। সঙ্গে ছিল নেটফ্লিক্স।

যেভাবে শুরু
ঘটনার শুরু গত অক্টোবরে, তখনই প্রথম ওয়ার্নার ব্রাদার্স বিক্রির কথা প্রকাশ্যে আসে। ২০২৬ সালের মধ্যভাগে প্রতিষ্ঠানটি দুই কোম্পানিতে ভাগ হবে, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি এমন ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই তা কেনার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর নভেম্বরের শেষ দিকে কয়েকটি আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের নাম জানা যায়। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সামনে আসে কমকাস্ট, নেটফ্লিক্স ও প্যারামাউন্ট।
ওয়ার্নার ব্রাদার্স জানায়, তাদের ‘গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’ (ক্যাবল চ্যানেল, টিভি নেটওয়ার্ক) আর ‘স্টুডিও + স্ট্রিমিং’ (এইচবিও, ওয়ার্নার স্টুডিও, এইচবিও ম্যাক্স) আলাদা কোম্পানিতে ভাগ করবে। ৫ই ডিসেম্বর নেটফ্লিক্স ঘোষণা করে যে, তারা ওয়ার্নার ব্রাদার্সের স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ইউনিট কেনার জন্য একটি অফিসিয়াল চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার মূল্য ৮২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।
তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেন যে, এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে না। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের এইচবিও ম্যাক্স ও নেটফ্লিক্স এক হয়ে গেলে, তাদের চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কেউ থাকবে না। বড় কোম্পানি বলতে তখন শুধু টিকে থাকবে ডিজনি প্লাস।
নেটফ্লিক্স ইতোমধ্যেই বড় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। যদি ওয়ার্নার ব্রাদার্সের কন্টেন্ট, স্টুডিও এবং লাইব্রেরি নিয়ে নেয়- তাহলে বিনোদন শিল্পে তাদের ক্ষমতা বহুগুণে বাড়বে। এতে অপেক্ষাকৃত ছোট প্রোডাকশনগুলো বিপাকে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
এখনই নেটফ্লিক্স ওয়ার্নার ব্রাদার্স কিনে ফেলতে পারছে না। কারণটা হচ্ছে একক বাজার আধিপাত্য বা মনোপলির সম্ভাবনা থাকলে এই চুক্তি আটকে দিতে পারে মার্কিন ও ইউরোপীয় কম্পিটিশন কমিশনগুলো। এই কমিশনগুলোর কাজ বাজারে মনোপলি বা একচেটিয়া ব্যবসা ঠেকানো ও ন্যায্য প্রতিযোগিতা বজায় রাখা। কিন্তু নেটফ্লিক্স ও ওয়ার্নার ব্রাদার্স এক হয়ে গেলে সেই প্রতিযোগিতা ব্যহত হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেছেন, এই চুক্তিকে সমস্যাজনক মনে করেন তিনি। গত রবিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “নেটফ্লিক্সের অনেক বড় বাজার আছে। একীভূত হওয়ার পর এত বড় আকার হবে, যা সমস্যা তৈরি করতে পারে।”
এ বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তিনি সরাসরি যুক্ত থাকবেন বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
সিনেমা শিল্পের পরিবর্তন?
আরেকটি শঙ্কা তৈরি হয়েছে সিনেমা শিল্প নিয়ে। থিয়েটারকেন্দ্রিক যে বাণিজ্য, তা এই চুক্তির ফলে সংকুচিত হয়ে আসতে পারে।
নেটফ্লিক্সও সিনেমা নির্মাণ করে- তবে তাদের মূল লক্ষ্য স্ট্রিমিং সার্ভিস। আর ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিওর মূল বাণিজ্যই সিনেমা হলকেন্দ্রিক।
দ্য লর্ড অব দ্য রিংস, হ্যারি পটার, গডজিলা সিনেমা ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের স্টুডিও থেকেই তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বের শীর্ষ দুই কমিকস স্টুডিওর একটি ‘ডিসি কমিকস’-এর সব সিনেমাও তারা তৈরি করে।
শঙ্কা তৈরি হয়েছে, বড় পর্দা থেকে ধীরে ধীরে সবকিছু ছোট পর্দাায় চলে আসবে কি না- যার প্রভাব পড়বে পুরো সিনেমার বাজারেই।
যদিও নেটফ্লিক্স আশ্বাস দিয়েছে যে, তারা ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিওকে সিনেমা মুক্তি দিতে দেবে। ২০২৯ সালের শেষ পর্যন্ত সিনেমা মুক্তির শিডিউল নির্ধারণ করা আছে ব্রাদার্সের।
এর ফলে এই স্টুডিও যেই কিনে নিক না কেন, তা মানতে হবে।
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের প্রধান নির্বাহী ডেভিড জাসলাভ বলেন, “১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছে ওয়ার্নার ব্রাদার্স। নেটফ্লিক্সের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমরা চেষ্টা করব, সামনের প্রজন্মও যেন সেরা বিনোদন উপভোগ করতে পারে- তা নিশ্চিত করা।”
ডিসকভারির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে নেতৃত্ব দিতেন জেসন কিলার। এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “হলিউডে প্রতিযোগিতা কমাতে ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে নেটফ্লিক্সের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার চেয়ে ভালো উপায় আর হয় না।”
এজে বেল এর অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ বিভাগের প্রধান ড্যানি হিউসন বলেন, “করমর্দন আসলে সহজ কাজ, মূল কাজ হচ্ছে এটি পাস হওয়া। মার্কিন নীতিনির্ধারকদের সবুজ সংকেত পাওয়াটাই কঠিন কাজ হবে।”
তিনি বলেন, “স্ট্রিমিং সার্ভিস সাবস্ক্রাইবারা উপকৃত হবে নাকি নেটফ্লিক্সের ইচ্ছে মতো ফি বাড়ানোর সুযোগ থাকবে- সেটাই সামনের মাসগুলোতে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।”

আবারও দৃশ্যপটে প্যারামাউন্ট
বিশ্বজুড়ে স্ট্রিমিং ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যত নিয়ে যখন আলোচনার ঝড়, তখন নতুন করে দৃশ্যপটে যুক্ত হয়েছে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স। মাত্র তিন দিন পরে ৮ই ডিসেম্বর তারা একটি ‘হস্টাইল বিড’ ঘোষণা করে।
তারা সরাসরি শেয়ারহোল্ডারদের প্রস্তাব দেয় যে, প্রতিটি শেয়ারের দাম ৩০ ডলার দেবে তারা- মোট চুক্তির পরিমাণ হবে ১০৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।
এই চুক্তিতে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সব সম্পদ রয়েছে। অর্থাৎ- স্টুডিও, স্ট্রিমিং ও ক্যাবল টিভি সবই তখন প্যারামাউন্টের হয়ে যাবে।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেই প্যারামাউন্ট দাবি করেছিল, তারা যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা নীতিনির্ধারকদের সবুজ সংকেত পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে তাদের অভিযোগ, নেটফ্লিক্সকে সুবিধা দিতে ওয়ার্নার ব্রাদার্স অসামঞ্জস্যপূর্ণ নিলাম আয়োজন করেছে।
এই প্রক্রিয়াকে ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে তারা বলছে, এই চুক্তি থেকে কেউ কেউ ব্যক্তিগত সুবিধা নেওয়ারও সুযোগ খুঁজছে।
তারা অভিযোগ করেছে, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ‘স্বচ্ছ প্রক্রিয়া’ অনুসরণ করছে না। একে ‘মায়োপিক’ বলে আখ্যা দিয়েছে তারা, যার অর্থ হচ্ছে- আগে থেকেই একজন বিনিয়োগকারীকে সুবিধা দিয়ে দেওয়া।
প্যারামাউন্টের প্রধান নির্বাহী ডেভিড এলিসন নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবকে ‘অপরিপক্ক’ বলে সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, তারা নেটফ্লিক্সের চেয়ে ১৮ বিলিয়ন ডলার বেশি দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিল।
সৌদি আরব, আবু ধাবি ও কাতারের মতো ধনী দেশগুলো থেকেও তহবিল আসবে, যুক্ত থাকবে জ্যারেড কুশনারের ফার্ম অ্যাফিনিটি পার্টনারও ।
প্যারামাউন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের তহবিল ও কুশনারের গ্রুপ এখানে যুক্ত থাকবে। ব্যাংক অব আমেরিকা, সিটিগ্রুপ ও অ্যাপোলোর পক্ষ থেকে ৫৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়েছে।
গত ১২ সপ্তাহে ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে ছয়টি প্রস্তাব দেওয়ার পরও তারা ‘ঠিকমতো যোগাযোগ করেনি’ বলেও অভিযোগ প্যারামাউন্টের। সেজন্যই বিষয়টি সরাসরি শেয়ারহোল্ডারদের কাছে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে তারা।
নিলাম প্রক্রিয়ায় জড়িত সূত্রকে উদ্ধৃত করে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারামাউন্ট নিলামের শেষ সপ্তাহে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি কেনার জন্য প্রতি শেয়ারের দাম ২৫ ডলার প্রস্তাব করেছিল- তাও সম্পূর্ণ নগদ অর্থে।
শেষ মুহূর্তে, প্রতিযোগিতা বাড়তে থাকায় প্যারামাউন্ট তাদের প্রস্তাব বাড়িয়ে প্রতি শেয়ারে ৩০ ডলার পর্যন্ত নেয়। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা পরই নেটফ্লিক্সকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তারা এর চেয়েও কম ডলারের প্রস্তাব দিয়েছিল বলে অভিযোগ করে প্যারামাউন্ট।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও চান প্যারামাউন্ট যেন এই বিডিংটা জিততে পারে। কারণ তিনিও এলিসনকে পছন্দ করেন। বর্তমানে সিবিএস ও সিএনএনও নিয়ন্ত্রণ করছে এলিসনই।
![]()
ট্রাম্পই চুক্তির ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা। নিউ স্ট্রিট রিসার্চ মিডিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক ব্লেয়ার লেভিন বলেন, “ট্রাম্প কার্ডই প্যারামাউন্টের জন্য এখন সেরা কার্ড। কিন্তু এটা ব্যাকফায়ারও করতে পারে। ওয়ার্নার ও নেটফ্লিক্স দাবি করতে পারে যে ট্রাম্প রাজনীতির কারণে তাদের চুক্তি বাতিল করেছে। কারণ প্যারামাউন্টের প্রস্তাবে ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা কুশনারের ফার্ম যুক্ত রয়েছেন।”
ট্রাম্পকে কুশনারের যুক্ত থাকার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি দাবি করেন, এই বিষয়ে কুশনারের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি তার।
তবে চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী ডেভিড এলিসন। তিনি বলেছেন, “আমরা যা শুরু করেছিলাম, তা শেষ করতে এসেছি।” তিনি বলেন, “আমরা এখন ওয়াল স্ট্রিটে আছি, এখানে টাকা কথা বলে। আমরা শেয়ারহোল্ডারদের নেটফ্লিক্সের চেয়ে ১৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বেশি প্রস্তাব দিয়েছি। তাই তারা এটাতেই ভোট দেবে।”
নেটফ্লিক্সের সঙ্গে চুক্তিটি ওয়ার্নার ব্রাদার্সের বোর্ডে পাস হয়েছে। ফলে প্যারামাউন্ট এখন সরাসরি শেয়ারহোল্ডাারদের আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন এই চুক্তি পাসে ভোট দেন। একে ‘হস্টাইল টেকওভার’ বলা হয়ে থাকে।
সাধারণত এই ধরনের কৌশল সফল হয় না। তবে ব্যতিক্রমও আছে। যেমন ২০২২ সালে টুইটারকে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে এভাবে কিনে নিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। আবার দুই দশক আগে ওয়াল্ট ডিজনিকে এই প্রক্রিয়ায় কিনতে ব্যর্থ হয়েছিল কমকাস্ট।
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বোর্ডের পক্ষ থেকে প্যারামাউন্টের প্রস্তাব সতর্কতার সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে। নেটফ্লিক্স ও ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মধ্যকার প্রস্তাবিত চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তারা প্যারামাউন্টের প্রস্তাব বিবেচনা করবেন বলে জানান।
কোম্পানিটি জানায়, তারা এখনো নেটফ্লিক্সের ব্যাপারে ইতিবাচক। ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তারা শেয়ারহোল্ডারদের প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে সুপারিশ করবে। তারা চান, ২৫শে ডিসেম্বর বড় দিনের আগে সব প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলতে। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, “ওয়ার্নার ব্রোস ডিসকভারির শেয়ারহোল্ডারদের এই সময়ের মধ্যে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের প্রস্তাবের আলোকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।”
নেটফ্লিক্সের কো-চিফ এক্সিকিউটিভ টেড সারান্দোস বলেন, প্যারামাউন্টের এই পদক্ষেপ প্রত্যাশিত ছিল। তিনি বলেন, “আমাদের চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে এবং আমরা এটা নিয়ে খুবই খুশি।” তিনি মনে করেন, নেটফ্লিক্সের এই অধিগ্রহণে শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহক থেকে শুরু করে হলিউডের সকল কর্মী উপকৃত হবে।
তবে নেটফ্লিক্সের চুক্তি আটকে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। বিশ্বজুড়ে তাদের ৩০ কোটি গ্রাহক রয়েছে। এইচবিও ম্যাক্স যুক্ত হলে এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ফলে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ থাকবে না।



