ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েনটা রয়েই গেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ‘টানাপোড়েন’ রয়েই গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, “বাস্তবতা মেনে নেওয়াই ভালো। সরকারের শুরু থেকে আজকে পর্যন্ত টানাপোড়ন তো আছেই ভারতের সাথে।”

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, “ভারতের সাথে টানাপোড়ন ছিল এটা মেনে নিয়েই আমরা সবসময় বলে এসেছি আমরা একটা গুড ওয়ার্কিং রিলেশন চাই। আমরা চাইলেই যে সেটা হবে এমন কোন কথা নেই।”

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমার মনে হয়, আমরা দুই পক্ষ মিলেই হয়তো অতটা এগুতে পারিনি। যে কারণে টানাপোড়েনটা রয়েই গেছে।”

হাসনাত আব্দুল্লাহের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা তিনি। 

“প্রথমেই প্রশ্ন হচ্ছে, হাসনাত কি সরকারের অংশ? সে তো সরকারের অংশ না। সরকারের বক্তব্য যদি হতো, তাহলে আমি বলতাম বা সরকারের যেই সর্বোচ্চ অফিস, সেখান থেকে বলতো। এটা অনেকটাই অবান্তর।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ কোন সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে না, আমাদের একটা নীতি আছে এ ব্যাপারে। কোন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় এই সরকার দেবে না।”

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা তাদের হাইকমিশনারকে ডেকেছি। আমরা যা কিছু বলেছি, তারা তা গ্রহণ করে নাই, কিছু দ্বিমত আছে এ বিষয়ে। একইভাবে আমাদের হাইকমিশনারকেও তারা ডেকেছে। এটা খুব অপ্রত্যাশিত না, সাধারণত এটা ঘটে।”

নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে বাংলাদেশ কোনো উপদেশ চায় না বলেও মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেছেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রথম থেকেই সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার চেষ্টা করছে। এটি নিয়ে প্রতিবেশীদের কোনো উপদেশ চায় না বাংলাদেশ।  

তৌহিদ হোসেন বলেন, “ভারত আমাদের এটা নিয়ে (নির্বাচন) উপদেশ দিচ্ছে তা আমি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য মনে করি এ কারণে যে তারা জানে যে গত ১৫ বছর ধরে যে সরকার ছিল, যে সরকারের সাথে অন্ত্যন্ত মধুর সম্পর্ক ছিল, তখন কিন্তু এই যে নির্বাচনগুলি প্রহসনমূলক হয়েছে এ নিয়ে একটা শব্দ উচ্চরণ করেনি। এখন সামনে একটা ভালো নির্বাচনের দিকে আমরা যাচ্ছি এই মুহূর্তে তো আমাদের নসিহত করার কোন প্রয়োজন নাই। আমরা জানি আমরা কী করব।”

নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা একটা ভালো নির্বাচন করব যেখানে মানুষ ভোট দিতে যেতে পারবে এবং যাদেরকে ভোট দেবে তারাই নির্বাচিত হবে। যেটা এর আগে গত ১৫ বছরে ঘটেনি।”