বড় বড় ভূমিকম্পের আঘাতে কীভাবে বদলে গিয়েছিল বাংলাদেশের ভূগোল ও জনপদ

আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম

বাংলাদেশ ভূমিকম্প ঝুঁকির দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম বিপদাপন্ন অঞ্চল।

কিন্তু ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়- এই ভূখণ্ড শুধু ঝুঁকিতেই নেই, অতীতে বহুবার বিধ্বস্ত হয়েছে ভয়াবহ ভূমিকম্পে।

এমন ভূমিকম্প, যেগুলো বদলে দিয়েছে নদীর গতিপথ, ভূগোল এবং পুরো জনপদের চেহারা।

১৭৬২ সালের গ্রেট বেঙ্গল বা আরাকান ভূমিকম্প।

এতে ঢাকা-চট্টগ্রামে সুনামির জেরে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়, বঙ্গোপসাগরে ভেসে ওঠে আজকের সেন্টমার্টিন্স দ্বীপ।

১৭৮৭ সালের গ্রেট ডাউকি ভূমিকম্পে ব্রহ্মপুত্রের তলদেশ উঁচু হয়ে যায়।

পথ পরিবর্তন করে সৃষ্টি হয় যমুনা নদীর। ভেঙে পড়ে শিলং-মেঘালয়ের পাহাড়।

নদীর গভীরতা কমে গিয়ে পাল্টে যায় বাংলার ভূপ্রকৃতি।

১৮৯৭ সালের গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক ময়মনসিংহ, সিলেট, শেরপুর থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

রেললাইন কর্কস্ক্রুর মতো পেঁচিয়ে যায়, মাটি ফেটে বেরিয়ে আসে কালো বালির ধোঁয়া, আহসান মঞ্জিলের গম্বুজ ধ্বংস হয়ে যায়, ২৪ ঘণ্টায় ১৫০টির বেশি আফটারশক।

এই ভিডিওতে আরও রয়েছে- ঢাকা শহরে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে শত শত প্রাণহানির ইতিহাস, ১৭৭৭ সালের রেনেলের মানচিত্র, ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ পরিবর্তন এবং কেন বাংলাদেশ বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ভূমিকম্প ঝুঁকির দেশ?