নেটো না, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে জায়গা হতে পারে ইউক্রেনের
আলাপ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএমআপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কয়েকদিন ধরে। আর এই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ইউক্রেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সদস্যপদ পাওয়ার কথা চলছে ।
২০২২ সালে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ বাধার পরপরই ইইউতে যোগ দেয়ার আবেদন করেছিল ইউক্রেন।
এরও দুই দশক আগে, ২০০২ সালে দেশটি নেটোতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা জানিয়েছিল। তবে সে আশায় গুড়েবালি, কারণ ওয়াশিংটন সাফ জানিয়েছে সে স্বপ্ন ছাড়তে হবে কিয়েভকে।
যুদ্ধ থামাতে ২০২৫ সালের নভেম্বরে ডনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া পিস প্ল্যানে ইউক্রেনকে নেটোতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা বাদ দিয়ে, বরং দেশটিকে তার কিছু ভূখণ্ড রাশিয়াকে ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া কিয়েভকে তার সৈন্য সংখ্যা সীমিত করার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে।
কিন্তু রাশিয়ার কাছে ভুখণ্ড ছাড়তে নারাজ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি। উল্টো নিজে আরও নতুন কিছু প্রস্তাব দেবেন বলে জানান। আর তখনই ট্রাম্প তার পিস প্ল্যানে কিছু অদল-বদল করেন। আলোচনার টেবিলে ফিরতে রাজি হন জেলেন্সকি।
ইউক্রেনের ইইউ সদস্য হওয়ার বিষয়টি এই আলোচনারই ফল। আর তাতে সায় দিয়েছে ইইউ’র বেশিরভাগ সদস্য।
তবে নতুন সদস্য নেয়ার ব্যাপারে ২৭টি সদস্যরাষ্ট্রের একমত হতে হয়। এর আগে এতে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো হাঙ্গেরি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সায় থাকা মানে, ট্রাম্প হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ওরবানকে তার ভেটো সরাতে বাধ্য করতে পারবেন।
যদিও ইইউ সদস্য হওয়ার জন্য যে ৩৬টি শর্ত পূরণ করতে হবে, তার একটিও আনুষ্ঠানিকভাবে পূরণ করতে পারেনি ইউক্রেন। তাই যে সময়সীমার কথা ট্রাম্পের পিস প্ল্যানে বলা হয়েছে তা রাখতে হলে ইইউ-কে তার সদস্যপদ দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
সাধারণত কোন ইউরোপীয় দেশের ইইউ সদস্যপদ পেতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়। ট্রাম্পের প্রস্তাব মানতে হলে ইইউ এই পুরো প্রক্রিয়া সারতে হাতে সময় পাবে মাত্র এক বছর।
ইউক্রেন যে এবার ইইউ সদস্যপদের ব্যাপারে মরিয়া তা জেলেন্সকির কথায় পরিষ্কার।
গেল সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কিয়েভে গণমাধ্যমকে বলেন আলোচনার টেবিলে তারা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
তবে এটা শুধু ইউরোপীয়দের উপর নির্ভর করে না, যুক্তরাষ্ট্রের উপরও নির্ভর করে মন্তব্য করে, জেলেন্সকি আরও বলেন এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ উভয়েরই থাকা প্রয়োজন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার সাথে সংঘাত শুরু হলে ইইউ সদস্যপদের আবেদন করে ইউক্রেন এবং চার মাস পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর মর্যাদা পায়।
এদিকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও যুদ্ধ সংক্রান্ত শান্তি আলোচনার জন্য সোমবার বার্লিনে যাচ্ছেন জেলেন্সকি। জার্মান সরকার জানিয়েছে দেশটির চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মারজ ছাড়াও অনেক ইউরোপের অনেক রাষ্ট্র প্রধান এবং ইইউ ও নেটোর শীর্ষ প্রতিনিধিরা এই আলোচনায় যোগ দেবেন।
চলতি সপ্তাহের শেষদিকে ওই আলোচনায় মার্কিন কর্মকর্তারাও যোগ দিবেন বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
তবে বার্লিনের আলোচনায় যেই প্রস্তাবগুলো উঠে আসবে, মস্কো তা মেনে নিবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাক গত শুক্রবার বলেছেন যে, সংশোধিত শান্তি পরিকল্পনার সর্বশেষ খসড়াগুলো রাশিয়া এখনও দেখেনি। তবে তার ধারণা সেই খসড়া পরিকল্পনার অনেক কিছুই তাদের পছন্দ হবে না।
নেটো না, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে জায়গা হতে পারে ইউক্রেনের
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কয়েকদিন ধরে। আর এই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ইউক্রেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সদস্যপদ পাওয়ার কথা চলছে ।
২০২২ সালে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ বাধার পরপরই ইইউতে যোগ দেয়ার আবেদন করেছিল ইউক্রেন।
এরও দুই দশক আগে, ২০০২ সালে দেশটি নেটোতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা জানিয়েছিল। তবে সে আশায় গুড়েবালি, কারণ ওয়াশিংটন সাফ জানিয়েছে সে স্বপ্ন ছাড়তে হবে কিয়েভকে।
যুদ্ধ থামাতে ২০২৫ সালের নভেম্বরে ডনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া পিস প্ল্যানে ইউক্রেনকে নেটোতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা বাদ দিয়ে, বরং দেশটিকে তার কিছু ভূখণ্ড রাশিয়াকে ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া কিয়েভকে তার সৈন্য সংখ্যা সীমিত করার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে।
কিন্তু রাশিয়ার কাছে ভুখণ্ড ছাড়তে নারাজ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি। উল্টো নিজে আরও নতুন কিছু প্রস্তাব দেবেন বলে জানান। আর তখনই ট্রাম্প তার পিস প্ল্যানে কিছু অদল-বদল করেন। আলোচনার টেবিলে ফিরতে রাজি হন জেলেন্সকি।
ইউক্রেনের ইইউ সদস্য হওয়ার বিষয়টি এই আলোচনারই ফল। আর তাতে সায় দিয়েছে ইইউ’র বেশিরভাগ সদস্য।
তবে নতুন সদস্য নেয়ার ব্যাপারে ২৭টি সদস্যরাষ্ট্রের একমত হতে হয়। এর আগে এতে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো হাঙ্গেরি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সায় থাকা মানে, ট্রাম্প হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ওরবানকে তার ভেটো সরাতে বাধ্য করতে পারবেন।
যদিও ইইউ সদস্য হওয়ার জন্য যে ৩৬টি শর্ত পূরণ করতে হবে, তার একটিও আনুষ্ঠানিকভাবে পূরণ করতে পারেনি ইউক্রেন। তাই যে সময়সীমার কথা ট্রাম্পের পিস প্ল্যানে বলা হয়েছে তা রাখতে হলে ইইউ-কে তার সদস্যপদ দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
সাধারণত কোন ইউরোপীয় দেশের ইইউ সদস্যপদ পেতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়। ট্রাম্পের প্রস্তাব মানতে হলে ইইউ এই পুরো প্রক্রিয়া সারতে হাতে সময় পাবে মাত্র এক বছর।
ইউক্রেন যে এবার ইইউ সদস্যপদের ব্যাপারে মরিয়া তা জেলেন্সকির কথায় পরিষ্কার।
গেল সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কিয়েভে গণমাধ্যমকে বলেন আলোচনার টেবিলে তারা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
তবে এটা শুধু ইউরোপীয়দের উপর নির্ভর করে না, যুক্তরাষ্ট্রের উপরও নির্ভর করে মন্তব্য করে, জেলেন্সকি আরও বলেন এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ উভয়েরই থাকা প্রয়োজন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার সাথে সংঘাত শুরু হলে ইইউ সদস্যপদের আবেদন করে ইউক্রেন এবং চার মাস পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর মর্যাদা পায়।
এদিকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও যুদ্ধ সংক্রান্ত শান্তি আলোচনার জন্য সোমবার বার্লিনে যাচ্ছেন জেলেন্সকি। জার্মান সরকার জানিয়েছে দেশটির চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মারজ ছাড়াও অনেক ইউরোপের অনেক রাষ্ট্র প্রধান এবং ইইউ ও নেটোর শীর্ষ প্রতিনিধিরা এই আলোচনায় যোগ দেবেন।
চলতি সপ্তাহের শেষদিকে ওই আলোচনায় মার্কিন কর্মকর্তারাও যোগ দিবেন বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
তবে বার্লিনের আলোচনায় যেই প্রস্তাবগুলো উঠে আসবে, মস্কো তা মেনে নিবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাক গত শুক্রবার বলেছেন যে, সংশোধিত শান্তি পরিকল্পনার সর্বশেষ খসড়াগুলো রাশিয়া এখনও দেখেনি। তবে তার ধারণা সেই খসড়া পরিকল্পনার অনেক কিছুই তাদের পছন্দ হবে না।