নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই দেশের রাজনীতির উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে রাজপথে। সেই উত্তাপ মাঝে মাঝেই রূপ নিচ্ছে সহিংসতায়। কখনো কখনো সেটার নাম দেয়া হচ্ছে ‘মব জাস্টিস’। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন যেখানে মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ থাকার কথা সেখানে ঠাঁই নিয়েছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। কোন পরিস্থিতির মাঝে পড়তে যাচ্ছে দেশ? সহিংসতার ইতি হবে কবে?
ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়া ও পরবর্তীতে তার মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হওয়া সহিংস প্রতিক্রিয়া রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। সংবাদমাধ্যম, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, কূটনৈতিক কার্যালয় এমনকি সাধারণ মানুষও এই অস্থিরতার বাইরে থাকেনি।
ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে সংগঠিত হলেও ঘটনাগুলোর চরিত্র এক- আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া। মানবাধিকার সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, এই প্রবণতা আর বিচ্ছিন্ন নয়, বরং নিয়মিত বাস্তবতায় পরিণত হচ্ছে।
নির্বাচনি রাজনীতির এই উত্তাপে রাষ্ট্রের আইন, শাসন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার সামনে বড় প্রশ্ন উঠে এসেছে।
গত ১২ই ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি। ঢাকা মেডিকেল ও এভারকেয়ারে চিকিৎসার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। তবে বাঁচানো যায়নি তাকে। ১৮ই ডিসেম্বর সেখানেই মৃত্যু হয় তার। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে ঢাকাসহ দেশের একাধিক এলাকায়।

ঢাকায় দৈনিক প্রথম আলো, দ্য ডেইল স্টার ও ছায়ানটে হামলা চালানো হয়। ঢাকার বাইরে ময়মসিংহে এক যুবককে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে মারা হয়। ঢাকার কার্যালয় ছাড়াও দেশের তিন জেলায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার কার্যালয় ঘেরাও করে একদল আন্দোলনকারী। সেই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়েছে।
এই ঘটনাগুলোর কোনোটি হয়েছে তৌহিদী জনতার নাম দিয়ে, কোনোটি জুলাই ৩৬ মঞ্চের, কোনোটি আবার ইনকিলাব মঞ্চের নামে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এমন বেশ কয়েকটি মব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) গণপিটুনির অন্তত ১৪১টি ঘটনা ঘটেছে।
এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১১৯ জন ।
এ সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর কমপক্ষে ১০টি হামলার ঘটনায় ৪ জন আহত হয়। একটি মন্দির, ১১টি প্রতিমা ও ১৮টি বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই ধরনের মব হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত বছরের অগাস্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে মব হামলা যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তা প্রতিহত করতে কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। একইসঙ্গে আগামী ফেব্রুয়ারিতে স্বচ্ছ, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করা উচিত।”
সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেছেন, “প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের অফিসে হামলা মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য উদ্বেগজনক।”
তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ও কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে সাংবাদিক, অধিকারকর্মী ও শিল্পীরা ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।
ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও। এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে তারা জানায়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, সহিংসতার অংশ হিসেবে প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার ও ছায়ানটের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয় এবং নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তা করা হয়। এ ছাড়া ধর্ম অবমাননার অভিযোগের পর হিন্দু পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায়ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি।
এসব সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এসব ঘটনায় মানুষ আহত হয়েছেন, সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে, এমনকি প্রাণহানিও ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়ে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আইনে কী বলা আছে
বাংলাদেশে মব সহিংসতা বা ‘মব জাস্টিস’ প্রতিরোধে আলাদা কোনো আইন নেই। তবে সংবিধান ও প্রচলিত দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এ ধরনের সহিংসতা স্পষ্টভাবে অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
বাংলাদেশে সংবিধানে, অপরাধী-নিরপরাধী নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিককে আইনের আওতাও বিচার লাভ এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের সকল নাগরিক আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।
অনুচ্ছেদ ৩১ বলছে আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনামে বা সম্পত্তির হানি ঘটে।
অনুচ্ছেদ ৩৩ অনুযায়ী একজন ব্যক্তির অবশ্যই তার মনোনীত আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ এবং নিজেকে সমর্থন করার অধিকার রয়েছে।
অনুচ্ছেদ ৩৫ অনুযায়ী অর্থাৎ, আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না এবং অপরাধের জন্য যতটুকু শাস্তি প্রাপ্য তার চেয়ে বেশি বা ভিন্ন কোনো শাস্তি দেয়া যাবে না।

এ ছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৯ ধারা অনুযায়ী, অপরাধী ধরা পড়লে তাকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করতেই হবে। এর ব্যতিক্রম করলে দণ্ডবিধির ১৮৭ ধারা অনুযায়ী অনূর্ধ্ব ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫০০ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
আটক রাখার পর যদি ওই ব্যক্তিকে যদি সামান্য আঘাতও করা হয় তাহলে ৩১৯ ধারায় উল্লিখিত আঘাতের অপরাধে অপরাধীকে ৩২৩ ধারার অধীনে এক বছরের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা ১০০০ টাকা জরিমানা করা যাবে।
ফৌজদারি কার্যবিধি সাধারণ নাগরিককে কেবল অপরাধী ধরে থানায় সোপর্দ করার সুযোগ দেয়। শাস্তি দেওয়া বা বিচার করার কোনো অধিকার জনতার নেই। আইনের চোখে মব সহিংসতা মানেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া—যা দণ্ডনীয় অপরাধ।
যদি পিটুনি দেওয়া হয় তবে কারাদণ্ডে মেয়াদ বেড়ে গিয়ে দাঁড়াবে অনূর্ধ্ব তিন বছর এক মাসে। সেইসঙ্গে অনূর্ধ্ব ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুতর আঘাত দেওয়া হয় তবে ৩২৫ ধারার অধীনে সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা যায়।
এ ছাড়া দণ্ডবিধির ৩৩৫ ধারা অনুযায়ী কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড উভয় দণ্ডেও দণ্ডিত হতে পারেন আঘাতকারীরা। হামলা চালানোর ফলে যদি ব্যক্তির মৃত্যু হয় তাহলে দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারা অনুযায়ী দশ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের সাজা দেওয়া যায়।
আর যদি অপরাধীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মেরে ফেলার বিষয়টি প্রমাণিত হয় তবে শাস্তি হলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব দশ বছর মেয়াদের যে কোনো কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। গণপিটুনিতে ওই ব্যক্তি নিহত হলে দণ্ডবিধির ৩৪ ধারা অনুযায়ী গণপিটুনিতে অংশ নেওয়া সব ব্যক্তি সমানভাবে এজন্য দায়ী হবে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কী করছে
সাম্প্রতিক সহিংসতার পর বিবৃতি প্রকাশ করে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার ফেইসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, “সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সকল নাগরিককে আহ্বান জানানো হচ্ছে—কয়েকজন বিচ্ছিন্ন উগ্র গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত সকল প্রকার সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সঙ্গে সতর্ক থাকুন। আমরা সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন, অগ্নিসংযোগ এবং জানমাল ধ্বংসের সকল কর্মকাণ্ডকে দৃঢ়ভাবে ও দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা জানাই।”

এরপর আরেকটি পোস্টে বলা হয়, ময়মনসিংহে সাম্প্রতিক ঘটনায় দশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, “ময়মনসিংহের ভালুকায় সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৭) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সাত ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।”
হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, তারা এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছেন। তবে মূল সন্দেহভাজন ফয়সলকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তার বাবা-মা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক মব সহিংসতার ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মব নিয়ে তাদের কাছে আগাম কোনো তথ্য নেই। তবে আইন যে নিজের হাতে তুলে নেবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে মবের পর জোরালো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয় উল্লেখ করা হলে তালেবুর রহমান বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।”
মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই কেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক শাহজাদা আসাদুজ্জামান আলাপ বলেন, “আমরা এভিডেন্স রেডি করছি, তদন্ত চলমান। এটা দৃশ্যমানও হবে।”
ময়মনসিংহের ঘটনায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা আরও কিছু মবের ঘটনার বিশ্লেষণ করছি। সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।”
পুলিশ সবসময় প্রস্তুত থাকে দাবি করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আমরা সেদিন হয়তো পুরোপুরি কন্ট্রোল করতে পারিনি পরিস্থিতি। তবে আমরা সবসময়ই প্রস্তুত।”
বিশ্লেষকরা যা বলছেন
যেকোনো বিচারে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় দেখা যায় বলে মন্তব্য করেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব.) নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ।
আলাপকে তিনি বলেন, “নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে, এখন সবার এখন নির্বাচনমুখী হওয়ার কথা ছিল, উৎসবমুখর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার বদলে আমরা দেখছি কেবল উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা।”
“আসলে কি নির্বাচন হতে যাচ্ছে এমন একটা প্রশ্ন সবার মধ্যে চলে আসছে”-বলেন নাসির আহম্মেদ। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় এই সমস্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিকির অবনতি ঘটনোই হয়েছে সবার মনে এই প্রশ্ন জমায় জন্য, যার ইমপ্যাক্ট হয়তো আমরা আরও খারাপভাবে দেখতে পাবো।”
এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, “আপনি ঘরে ঘরে নিরাপত্তা দিতে না পারেন, কিন্তু তারা প্রকাশ্যে কথা বলে থ্রেট ফিল করছে। বলছে যে প্রতিনিয়ত আমার কাছে মৃত্যু হুমকি আসছে। এগুলো বলার পরেও আপনি তাকে ন্যূনতম নিরাপত্তা দিচ্ছেন না।”
“হয়তো সেই ব্যক্তি নিরাপত্তা চাচ্ছেন না” উল্লেখ করে নাসির আহম্মেদ আরও বলেন, “একটি বাচ্চা আগুনের দিকে চলে যেতেই পারে, কিন্তু মা-বাবার দায়িত্ব কী? রাষ্ট্রকে আমরা কল্যাণময়ী ভূমিকায় দেখতে চাই। যেকোনোভাবেই হোক, ছদ্ম আবরণেই হোক তার প্রতি নজর রাখা আমাদের উচিত ছিল। এই ব্যাপারে আমাদের একটা ব্যর্থতা রয়েছে।”
মব কীভাবে থামতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিপ্লবের পর মব হওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক। এটা থামানো যেত যদি বিপ্লবীরা সবাই একসঙ্গে থাকতো। তাদের মধ্যে বিভক্তির কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।
তবে এই ধরনের পরিস্থিতি ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নাসির আহম্মেদ। তিনি বলেন, “মব ঠেকানোর সমাধান কাউন্টার মবে নয়।”
এই পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য তিনটি কাজ করা দরকার বলে জানান এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক। তিনি বলেন, প্রথমত গোয়েন্দা তৎপরতা অনেক বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, সেনাবাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে যেন সবাই তাদের তৎপরতা ও দৃশ্যমানতা বুঝতে পারে। তৃতীয়ত, পুলিশকে প্রতিনিয়ত জনসংযোগ বাড়াতে হবে এবং অতীতের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।



