বাংলাদেশের ক্রিকেট নেক্সট লেভেলে যাবে কবে

ক্রিকেটে এত বছরেও আইসিসির বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টে সাফল্য না পাওয়া জাতীয় দলটির নাম বাংলাদেশ। প্রতিভা এসেছে, আশা জাগিয়েছে, আবার আশার ফুল ফুটিয়ে হারিয়েও গেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট তাই বলিউড মুভি টুয়েলভথ ফেইলের মতো নিয়ম করে রিস্টার্ট নিয়ে চলেছে। 

আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম

আবছা মনে আছে। ১৯৯৭-এ সবে হাইস্কুল শুরু করা একজন বালকের স্মৃতি ২৮ বছর পর যতটুকু ধরে রাখে আর কী। সবার মধ্যে কীসের এক উত্তেজনা চোখে পড়েছিল সেদিন। সোশ্যাল মিডিয়া বিহীন সেই যুগে, কিছু বুঝে উঠার আগেই, সাদা ইউনিফর্মে এসে লাগে লাল রঙের ছিটা।

বাংলাদেশ বিশ্বকাপে। অদ্ভুত লাগে। চোখের সামনে তখন বিশ্বকাপ মানে মহাযজ্ঞ। নাম জানা না জানা দেশগুলোর রঙিন সব জার্সি আর পতাকা। তখনো যে চোখ বিশ্ব মানচিত্রে আঙুল দিয়ে বাংলাদেশ নামের অতি ক্ষুদ্র একটা জায়গা খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ নেয়, সেই চোখের সামনে তখন সত্যিই বিশ্বকাপে লাল সবুজ রঙের ছিটা।

দু’বছর পর বালকটি যখন কৈশোরে পা রাখছে, ততদিনে তার আশেপাশে ব্যাট-বলের এক অবিশ্বাস্য জোয়ার। শহর থেকে গ্রামেও ছোঁয়া লাগছে। সেই জোয়ারে বন্ধুদের সাথে ভেসেছে সেই কিশোরও। 

টেবিলে পড়ার বই। নিচে ব্যাট আর বল। ও হ্যাঁ, কারো কারো আবার টেবিলে বইয়ের ফাঁকে আলাদা করে যত্নে রাখা একটি বিশেষ খাতা। যেটাতে লাগানো প্রিয় সব ক্রিকেটারের স্টিকার। শচীন, ওয়াসিম, লারাদের ছবি নিয়ে বন্ধুদের কাছে তখন সেটাই ছিল 'ফ্লেক্স'।

ফুটবলের মতো অতটা রঙিন না হলেও বিশ্বকাপ তো। ১৯৯৯ সালে বিশ্বমঞ্চে প্রথমবার বাজতে শোনা গেল ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’। সেটাও আবার একেবারে বিলেতের মাটিতে। 

এবার আর ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নয়, প্রথমবার নিজের দেশকে সমর্থনের সুযোগ এসে গেল। অবশ্য বাস্তবতা মেনে ক্রিকেট ফ্যানরা নিজেদের প্রথম পছন্দ ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা কিংবা অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজেই রাখলো। 

অর্থাৎ ক্রিকেটে নিজের দেশ বাংলাদেশ তখনো দ্বিতীয় পছন্দ। যেভাবে যুগের পর যুগ বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলাটাই ফুটবলের পর দ্বিতীয় জনপ্রিয় খেলা হয়ে থেকেছে। ক্ষেত্রবিশেষে ক্রিকেট ছিল জনপ্রিয়তার দিক থেকে তৃতীয়, কারণ হকির জনপ্রিয়তাও তখন আকাশচুম্বী। 

কিন্তু এরপর ক্রিকেট ক্রমান্বয়ে হয়ে উঠেছে নাম্বার ওয়ান। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ের সাথে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ, ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া। ১৯৯৯-এ বিশ্বকাপ খেলা, এরপর ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস, এক ধাক্কায় এক এলিট জগতে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশ।

ক্রিকেটেই তখন সবকিছু

ক্রিকেটেই তখন সবকিছু

তারপরও ফুটবলের এগিয়ে থাকার সুযোগ ছিল। কারণ ২০০৩ সালে বাংলাদেশ পেয়ে যায় তাদের ফুটবল ইতিহাসেরই সেরা সাফল্য- সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।

কিন্তু ততদিনে পথ হারানো ফুটবলের জন্য ওটা হয়ে যায় একটা ফ্লুক- হঠাৎ পাওয়া সাফল্য। যার আগে পরে অন্ধকারের গল্পই বেশি। লিগের আকর্ষণ নেই, জাতীয় দলের সাফল্য নেই, মাঠে দর্শক নেই, ক্লাবগুলোর টাকা নেই- ফুটবলে তখন শুধু নেই আর নেই।

ক্রিকেটে তখন আছে অনেক কিছুই। বাংলাদেশ নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলছে, মাঝে মধ্যে সাফল্য আসছে, নিত্য নতুন স্পন্সর যোগ হচ্ছে। ফলে ওই কিশোরটি যখন যুবক হয়ে উঠছিল, তার সাথে সাথে পরিণত হচ্ছিল দেশের ক্রিকেটও। 

তবে ক্রিকেটের এগিয়ে যাওয়ার শুধু এটাই একমাত্র কারণ নয়। যারা দেখেছে দেড়ঘণ্টা ধরে একটি আস্ত মাঠজুড়ে ছুটে বেড়ানোর চাইতে শুধু এক জায়গায়  দাঁড়িয়ে থেকে কিংবা কম নড়াচড়া করেও কোনো খেলায় নিজের প্রতিভার প্রমাণ দেয়া যায়, নিজেকে সেরাদের কাতারে নেয়া যায়- তারা ক্রিকেটকে আগ্রহভরেই আপন করে নেয়।

তার উপর ফুটবলের দৃশ্যমান সাফল্য না থাকায় সেখানে অনাগ্রহ দেখা যায় অনেকেরই। আর এভাবেই বাংলাদেশে ফুটবলের জায়গা নেয় ক্রিকেট। আর ক্রিকেটের জায়গায় চলে যায় ফুটবল। 

ক্রিকেট যেন আশার ফুল

কিন্তু জগতে কোনো কিছুই বোধহয় চিরস্থায়ী নয়। তাই তো অপার সম্ভাবনা থাকার পরও গুণে, মানে এই শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে রীতিমতো ব্যর্থই হয়েছে দেশের ক্রিকেট। 

বছরের পর বছর অপেক্ষার পর কেনিয়া, জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে যে জয়যাত্রার শুরু, সেই যাত্রা মসৃণ থাকেনি কখনোই। বরং দুই ধাপ এগিয়েছে তো আবার পরক্ষণেই চারধাপ পিছিয়েছে। 

প্রতিভা এসেছে, আশা জাগিয়েছে, আবার আশার ফুল ফুটিয়ে হারিয়েও গেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট তাই বলিউডি মুভি টুয়েলভথ ফেইলের মতো নিয়ম করে রিস্টার্ট নিয়ে চলেছে। 

ক্রীড়া সাংবাদিক ও বিশ্লেষক ইকরামুজ্জামান বলছেন, “২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর মনে হল, এবার বোধহয় আমরা পরের ধাপে যেতে পারব। কিন্তু বাস্তবতা হল- আমরা এত বছরেও কিছুই গুছিয়ে উঠতে পারিনি।“

“আমরা ওয়ানডেটা ভালো খেলতাম। সেখানেও পিছিয়ে গেছি। আর এখন তো কোনো কিছুতেই টিকতে পারছি না”, বলেন ইকরামুজ্জমান।

অতীতে সাফল্য কতটা ছিল?

স্পোর্টসে বাংলাদেশের আহামরি সাফল্য খুঁজতে গেলে গলদঘর্ম হতে হয়। উপরন্তু, লজ্জার রেকর্ড খুঁজে পাওয়া খুবই সহজ। যেমন- সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বিগেস্ট শো অন আর্থ- অলিম্পিকে আজ অবধি কোনো পদক না পাওয়া দেশটির নাম বাংলাদেশ।

আর ক্রিকেটে এত বছরেও আইসিসির বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টে সাফল্য না পাওয়া জাতীয় দলটির নাম- বাংলাদেশ। জাতীয় দল বলছি, কারণ- বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৯ দল বিশ্বকাপ এনে দিয়েছে। যদিও তারাই আবার বয়সভিত্তিক দল থেকে জাতীয় দলে এসে খেই হারিয়ে ফেলে। 

সময়ের সাথে তাই ক্রিকেট নিয়ে বেড়ে চলেছে না পাওয়ার আক্ষেপ, দীর্ঘশ্বাস আর হতাশা। একসময়ের ফুটবলের মতো অনেক নেই যে এখন ক্রিকেটেও। 

যথাযথ কোনো অবকাঠামো নেই, ভাল উইকেট নেই, পর্যাপ্ত লাইনআপ নেই, সারাদেশের জেলাগুলোতে নিয়মিত খেলা নেই, যা কিছু স্থাপনা আছে সেগুলোরও যত্ন নেই, কোনো ভিশন নেই- এই তালিকা আরো লম্বা করা যায়। সেই সাথে কেন নেই, তার উত্তর খোঁজাটাও জরুরি। 

কিন্তু তার আগে আরও একবার পেছনে ফেরা যাক। আচ্ছা ওই যে একসময়ের বালক, যে ১৯৯৭ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের গল্প লিখছে, তার আরেকটু পেছনে, শৈশবে কিংবা জন্মেরও আগে কি ক্রিকেট ছিল না? থাকলে কেমন ছিল সেটা?

"পঞ্চাশ ও ষাটের দশক থেকে এখানে নিয়মিত ক্রিকেট খেলা হত। কিন্তু সেটা শুধু সীমিত ওভারে। বাংলাদেশ থেকে কেউ টেস্ট খেলার সুযোগ পায়নি", বলেন  ক্রীড়া বিশ্লেষক ইকরামুজ্জামান।

"স্বাধীনতার পর সুযোগ আসে বটে কিন্তু তা কাজে লাগানো যায়নি।” 

স্বাধীনতার এক বছর পরেই প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড- বিসিবি। আর ১৯৭৭ সালে প্রথম কোনো ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ দল।

তখন ক্রিকেট ও ফুটবল, দুটোর জন্যই সবেধন নীলমণি ছিল ঢাকা স্টেডিয়াম, যা এখন জাতীয় স্টেডিয়াম হিসেবে স্বীকৃত। 

বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ম্যাচ খেলতে আসে ক্রিকেটের আঁতুরঘর মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব- এমসিসির একটি দল। তাদের এই সফরের পথ ধরে, বাংলাদেশ সে বছরেই পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত আইসিসি সদস্যপদ। 

১৯৭৯ সাল থেকে বাংলাদেশ অংশ নিতে থাকে আইসিসি ট্রফির আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। তবে বাংলাদেশ প্রথম স্বীকৃত লিস্ট এ ক্রিকেট ম্যাচ খেলে ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের সাথে।

এর দু’বছর পর নিজেদের মাটিতে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপ ক্রিকেট আয়োজন করে বাংলাদেশ।

১৯৭৭ সালে এমসিসির সাথে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের প্রথম বল খেলা ক্রিকেটার রকিবুল হাসান। যিনি নিজের পুরো একটা জীবন কাটিয়ে দিলেন ক্রিকেটের সাথে। খুব কাছ থেকে দেখেছেন এর ভেতর-বাহির, উত্থান-পতন। সেই হিসেবে বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেটকে কোথায় রাখবেন তিনি? 

"ক্রিকেটে আমাদের সমস্যা হল ধারাবাহিকতার অভাব। এখন সময়টা একটু খারাপই যাচ্ছে আমাদের, আশা অনুপাতে ধারাবাহিক নই আমরা," বলেন রকিবুল হাসান। 

বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা নেই কেন? 

বাংলাদেশ আসলে কতটা অধারাবাহিক? কিছু সংখ্যা বা পরিসংখ্যানে হয়তো বোঝা যাবে।

১৯৯৯ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে দুটিতে জিতেছিল বাংলাদেশ দল। 

এরপর, এইতো বছর দুয়েক আগে নিজেদের সপ্তম বিশ্বকাপে এসেও বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ঠিক দুটি। তবে পার্থক্য হল ২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলেছে মোট ৯টি ম্যাচ।

অথচ মাঝে ক্রিকেট আঙিনায় একটা দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ, অভিজ্ঞতা ও সুযোগ সুবিধা দুটোই বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের নজর সবসময়ই থেকে গেছে পরবর্তী বিশ্বকাপে দিকে।  

র‍্যাংকিংয়েও সবসময়েই ব্যাকবেঞ্চার। এই রিপোর্ট লেখার সময় যেমন টেস্টে ১২ দলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯, টি-টোয়েন্টিতেও তাই। ওয়ানডেতে আরো এক ধাপ পেছনে, দশ নম্বর। 

প্রকৃতি কি সবকিছু ফিরিয়ে দেয়? হ্যালির ধূমকেতু যেমন দীর্ঘ একটা বিরতির পর নির্দিষ্ট সময়ে দেখা দেয়, কিংবা এই বিশ্বব্রক্ষাণ্ডের অনেক কিছুই যেমন নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট গতিপথ অতিক্রম করে একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে গিয়ে মেলে, তেমনি ক্রিকেট আর ফুটবলের মধ্যে প্যারাডাইম শিফটও কি ঘটে গিয়েছে আবার? 

বিশ্লেষক ইকরামুজ্জামান মনে করেন, ফুটবলে এখন গতি এসেছে অনেক। স্পন্সর আসছে। আর অন্যদিকে ক্রিকেটে দেখেন- এই এক বিপিএল নিয়ে এখন হযবরল অবস্থা। 

আর রকিবুল হাসান বলেন, সবাই আসলে রেজাল্ট চায়। যা ক্রিকেট দিতে ব্যর্থই হয়েছে বেশিরভাগ সময়। 

তবে ক্রিকেট-ফুটবলের উত্থান পতনের মতো এই দুই বিশ্লেষকও মিলে গেলেন একটা বিন্দুতে। দুজনেই সংকটের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন একটা বিষয়কেই- ম্যানেজমেন্ট। 

''আমাদের ম্যানেজমেন্ট ক্রাইসিস। ফলে দেশে ক্রিকেট কালচারটাই তৈরি করা যায়নি। খেলাটাকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের আরো পেশাদার হতে হবে,'' বলছিলেন ইকরামুজ্জামান। 

রকিবুল হাসান মনে করেন ''আমরা যদি দুই পা এগোই, তো বাকিরা চার পা এগিয়ে যায়। ফলে যে গ্যাপটা তৈরি হয় সেটা পূরণে ক্রিকেট বোর্ডের যা করণীয়, তা তারা করতে পারছে না।” 

ক্রিকেটে অর্থ থাকলেও, অবকাঠামো নেই বলে মন্তব্য রকিবুল হাসানের। 

"আমাদের ক্রিকেট ঢাকাকেন্দ্রিক। এই যে আমরা এত ক্রিকেট খেলছি, কিন্তু সেই পরিমাণে কোয়ালিটি প্লেয়ার তৈরি হচ্ছে না।” 

রকিবুল হাসান বলেন, “ক্রিকেট কালচারই গড়ে উঠেনি। সারা বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে হবে, ভালো পিচ তৈরি করতে হবে।"

আর দেরিতে হলেও নতুন বোর্ড এসব করার চেষ্টা করছে বলে জানান সাবেক এই অধিনায়ক। 

ক্রিকেটের বড় শক্তিই হলো দর্শক-সমর্থক। যারা নানা সমালোচনা, যন্ত্রণা, সহ্য করেও ক্রিকেট থেকে কখনো মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। বরং আর বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা দেখবো না বলা দর্শকই, সবার আগে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে ঘরে ফিরতে চান খেলা শুরু হওয়ার আগেই। 

ট্রাফিক জ্যাম, ঘাম, বাজারে মূল্যস্ফীতি, নানা টানাপোড়েন থেকে সাময়িক মুক্তি খুঁজে নেন ২২ গজের রোমাঞ্চে, ব্যাট-বলের লড়াইয়ে। 

কদাচিৎ বড় দলের সাথে একটা-দুটো জয়, আকরাম খান, হাবিবুল বাশার, বুলবুল থেকে শুরু করে সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহর পঞ্চপাণ্ডব হয়ে এখনকার মুস্তাফিজ, লিটনদের সাফল্যে প্রাপ্তি খুঁজে নেন দর্শকরা।  

রকিবুল হাসান বলেন, "আমরা ফুটবলে বিশ্বকাপ কবে খেলতে পারবো জানি না, কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বকাপ আমরা খেলছি। এটা ঠিক যে জাতিসংঘের সদস্য দেশের চেয়েও বেশি দেশ ফুটবল খেলে থাকে। এখন, ফুটবল কিন্তু একটাই খেলা- ৯০ মিনিট। কিন্তু ক্রিকেটের ৩টা ভার্শন আছে। ক্রিকেটারদের জন্য এটা বড় একটা চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টটা জরুরি।”

“ক্রিকেটের বর্তমান অবস্থাটা সাময়িক। যত তাড়াতাড়ি আমরা এই সমস্যাগুলো আমলে নিয়ে সমাধান করতে পারবো, তত তাড়াতাড়ি ক্রিকেটও নেক্সট লেভেলে যাবে,” যোগ করেন তিনি।