মানুষের চিন্তাধারা প্রায় নকল করার ক্ষমতা নিয়ে প্রযুক্তি দুনিয়ায় এলো ওপেনএআইয়ের সর্বশেষ মডেল জিপিটি-৫.২। গণিত অলিম্পিয়াডের মতো কঠিন পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ নির্ভুল উত্তর দেয়া এই মডেলটি কাজ করে মানুষের চেয়ে ১১ গুণ দ্রুত। অর্থনৈতিকভাবে মূল্যবান পেশাদার কাজে ৭০.৯ শতাংশ ক্ষেত্রে মানুষের সমান বা তার চেয়ে ভালো পারফর্ম করে জিপিটি ৫.২। যা এআই এর বিস্ময় ও সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
আলাপ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫১ পিএমআপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী জিপিটি ৫.২ মডেল এনেছে ওপেনএআই। জিপিটি ৫.১-এর মতো এই মডেলেও আছে তিনটি সংস্করণ- ইনস্ট্যান্ট, থিংকিং এবং প্রো।
ইনস্ট্যান্ট হলো সবচেয়ে দ্রুতগতির মডেল। এটি প্রতিদিনের কাজ, শেখা, সাধারণ তথ্য খোঁজা, নির্দেশিকা লেখা এবং অনুবাদের মতো সাধারণ কাজের জন্য উপযুক্ত।
থিংকিংয়ে থাকছে আরও শক্তিশালী কোডিং- বড় ডকুমেন্ট বা রিপোর্ট সংক্ষিপ্ত করার কাজে লাগবে এটি। আপলোড করা ফাইল বা ডেটা বিশ্লেষণ এবং তার সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
প্রো হলো সবচেয়ে বেশি ক্ষমতারধর। এটি মূলত কঠিন প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য এবং প্রোগ্রামিংয়ের মতো জটিল ডোমেন নির্ভুল করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
প্রো ভার্সনে বড় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকেই না বলে দাবি করেছে ওপেনএআই।
ওপেনএআই যা বলছে
কোড লেখা, পুরো অ্যাপ তৈরি এমনকি জিপিটি ৫.২ জটিল বাগ ফিক্সিংও করতে পারে বলে নিজেদের ব্লগে দাবি করেছে ওপেনএআই।
গণিত অলিম্পিয়াড পর্যায়ের পরীক্ষায় এটি ১০০ শতাংশ সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া পিএইচডি লেভেলের বিজ্ঞানের প্রশ্নোত্তরে এর নির্ভুলতা ৯২.৪ শতাংশ বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
মডেলটির জিডিপিভ্যাল বা অর্থনৈতিকভাবে মূল্যবান কাজের পরীক্ষাও নেয়া হয়েছে। এতে ৪৪টি ভিন্ন পেশার সুনির্দিষ্ট কিছু কাজে জিপিটি ৫.২ থিংকিং মডেলটি মানুষের সাথে পাল্লা দিয়েছে।
এটি ৭০.৯ শতাংশ ক্ষেত্রে পেশাদার মানুষের সমান বা তাদের চেয়ে ভালো পারফর্ম করেছে। যেখানে আগের জিপিটি ৫ মডেলের সাফল্য ছিল ৩৮.৮ শতাংশ।
'কোড রেড' পরিস্থিতি ও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা
সম্প্রতি গুগলের জেমিনি এবং অ্যানথ্রপিকের ক্লড মডেলগুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিছুটা চাপে ছিল ওপেনএআই । জিপিটি-৫.২ সেই চাপ কাটিয়ে ওঠার এবং সমালোচকদের জবাব দেওয়ার একটি মোক্ষম হাতিয়ার বলছেন বিশ্লেষকরা।
ফরচুন ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ওপেনএআইয়ের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অনেকটা 'কোড রেড'-এর মতো ছিল। রেসে ফিরতে তাই তড়িঘড়ি করেই জিপিটি ৫.২ বাজারে এনেছে তারা।
তবে এর মাধ্যমে উদ্ভাবনের দৌড়ে চালকের আসনে শক্তভাবে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে কোম্পানিটি।
প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকরাডার এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, চ্যাটজিপিটির নতুন ভার্সনটি সরাসরি গুগলের জেমিনি ৩ এর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। মাল্টি-মোডাল সক্ষমতা অর্থাৎ একই সাথে টেক্সট, অডিও এবং ভিডিও প্রসেস করা এবং প্রসেসিং স্পিডের দিক থেকে এই মডেলটি জেমিনাই ৩-কে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।
পেশাদার কাজে মানুষের সমকক্ষ দক্ষতা
কর্মক্ষেত্রে এআইয়ের নির্ভরতা বাড়াতে এই মডেলটি গেমচেঞ্জার হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সিএনবিসি।
ওপেনএআই দাবি করেছে, তাদের নতুন মডেলটি জটিল কর্পোরেট কাজ, গভীর ডেটা বিশ্লেষণ এবং নির্ভুল কোডিংয়ের ক্ষেত্রে আগের যেকোনো সংস্করণের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষ।
তাদের দাবি, মানুষের তুলনায় এই মডেলটি ১১ গুণেরও বেশি দ্রুত কাজ করতে পারে। আর এতে খরচ হয় মানুষের পারিশ্রমিকের ১ শতাংশেরও কম।
বিস্ময় এবং প্রতিশ্রুতির নতুন দিগন্ত
প্রযুক্তিগত সক্ষমতার বাইরেও এই মডেলের দার্শনিক এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরেছে ফোর্বস।
“জিপিটি ৫.২ শুধু মাত্র একটি সফটওয়্যার আপডেট নয়, এটি এআই এর বিস্ময় এবং প্রতিশ্রুতির এক মূর্ত প্রতীক।”
ফোর্বস আরও উল্লেখ করে, এই মডেলে এমন কিছু ইমার্জেন্ট বিহেভিয়ার বা স্বতঃস্ফূর্ত আচরণ লক্ষ্য করা গেছে- যা এআই গবেষকদের জন্যও বিস্ময়কর। এটি মানুষের চিন্তার ধরনকে আরও নিখুঁতভাবে নকল করতে পারে।
জিপিটি ৫.২ প্রমাণ করে যে, অদূর ভবিষ্যতে এআই নিয়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর লড়াই আরও তীব্র হবে। তবে শেষ পর্যন্ত লাভবান হচ্ছেন সাধারণ ব্যবহারকারী এবং প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতারা। তারা প্রতিনিয়ত পাচ্ছেন উন্নততর সব টুল।
ফরচুনের মতে, এই মুহূর্তে জিপিটি ৫.২-এর মাধ্যমে ওপেনএআই তাদের হারানো সিংহাসন অনেকটাই পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
শক্তিশালী এআই মডেল নিয়ে এলো ওপেনএআই
মানুষের চিন্তাধারা প্রায় নকল করার ক্ষমতা নিয়ে প্রযুক্তি দুনিয়ায় এলো ওপেনএআইয়ের সর্বশেষ মডেল জিপিটি-৫.২। গণিত অলিম্পিয়াডের মতো কঠিন পরীক্ষায় ১০০ শতাংশ নির্ভুল উত্তর দেয়া এই মডেলটি কাজ করে মানুষের চেয়ে ১১ গুণ দ্রুত। অর্থনৈতিকভাবে মূল্যবান পেশাদার কাজে ৭০.৯ শতাংশ ক্ষেত্রে মানুষের সমান বা তার চেয়ে ভালো পারফর্ম করে জিপিটি ৫.২। যা এআই এর বিস্ময় ও সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী জিপিটি ৫.২ মডেল এনেছে ওপেনএআই। জিপিটি ৫.১-এর মতো এই মডেলেও আছে তিনটি সংস্করণ- ইনস্ট্যান্ট, থিংকিং এবং প্রো।
ইনস্ট্যান্ট হলো সবচেয়ে দ্রুতগতির মডেল। এটি প্রতিদিনের কাজ, শেখা, সাধারণ তথ্য খোঁজা, নির্দেশিকা লেখা এবং অনুবাদের মতো সাধারণ কাজের জন্য উপযুক্ত।
থিংকিংয়ে থাকছে আরও শক্তিশালী কোডিং- বড় ডকুমেন্ট বা রিপোর্ট সংক্ষিপ্ত করার কাজে লাগবে এটি। আপলোড করা ফাইল বা ডেটা বিশ্লেষণ এবং তার সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
প্রো হলো সবচেয়ে বেশি ক্ষমতারধর। এটি মূলত কঠিন প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য এবং প্রোগ্রামিংয়ের মতো জটিল ডোমেন নির্ভুল করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
প্রো ভার্সনে বড় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকেই না বলে দাবি করেছে ওপেনএআই।
ওপেনএআই যা বলছে
কোড লেখা, পুরো অ্যাপ তৈরি এমনকি জিপিটি ৫.২ জটিল বাগ ফিক্সিংও করতে পারে বলে নিজেদের ব্লগে দাবি করেছে ওপেনএআই।
গণিত অলিম্পিয়াড পর্যায়ের পরীক্ষায় এটি ১০০ শতাংশ সঠিক উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া পিএইচডি লেভেলের বিজ্ঞানের প্রশ্নোত্তরে এর নির্ভুলতা ৯২.৪ শতাংশ বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
মডেলটির জিডিপিভ্যাল বা অর্থনৈতিকভাবে মূল্যবান কাজের পরীক্ষাও নেয়া হয়েছে। এতে ৪৪টি ভিন্ন পেশার সুনির্দিষ্ট কিছু কাজে জিপিটি ৫.২ থিংকিং মডেলটি মানুষের সাথে পাল্লা দিয়েছে।
এটি ৭০.৯ শতাংশ ক্ষেত্রে পেশাদার মানুষের সমান বা তাদের চেয়ে ভালো পারফর্ম করেছে। যেখানে আগের জিপিটি ৫ মডেলের সাফল্য ছিল ৩৮.৮ শতাংশ।
'কোড রেড' পরিস্থিতি ও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা
সম্প্রতি গুগলের জেমিনি এবং অ্যানথ্রপিকের ক্লড মডেলগুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিছুটা চাপে ছিল ওপেনএআই । জিপিটি-৫.২ সেই চাপ কাটিয়ে ওঠার এবং সমালোচকদের জবাব দেওয়ার একটি মোক্ষম হাতিয়ার বলছেন বিশ্লেষকরা।
ফরচুন ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ওপেনএআইয়ের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অনেকটা 'কোড রেড'-এর মতো ছিল। রেসে ফিরতে তাই তড়িঘড়ি করেই জিপিটি ৫.২ বাজারে এনেছে তারা।
তবে এর মাধ্যমে উদ্ভাবনের দৌড়ে চালকের আসনে শক্তভাবে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে কোম্পানিটি।
প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকরাডার এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, চ্যাটজিপিটির নতুন ভার্সনটি সরাসরি গুগলের জেমিনি ৩ এর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। মাল্টি-মোডাল সক্ষমতা অর্থাৎ একই সাথে টেক্সট, অডিও এবং ভিডিও প্রসেস করা এবং প্রসেসিং স্পিডের দিক থেকে এই মডেলটি জেমিনাই ৩-কে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।
পেশাদার কাজে মানুষের সমকক্ষ দক্ষতা
কর্মক্ষেত্রে এআইয়ের নির্ভরতা বাড়াতে এই মডেলটি গেমচেঞ্জার হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সিএনবিসি।
ওপেনএআই দাবি করেছে, তাদের নতুন মডেলটি জটিল কর্পোরেট কাজ, গভীর ডেটা বিশ্লেষণ এবং নির্ভুল কোডিংয়ের ক্ষেত্রে আগের যেকোনো সংস্করণের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষ।
তাদের দাবি, মানুষের তুলনায় এই মডেলটি ১১ গুণেরও বেশি দ্রুত কাজ করতে পারে। আর এতে খরচ হয় মানুষের পারিশ্রমিকের ১ শতাংশেরও কম।
বিস্ময় এবং প্রতিশ্রুতির নতুন দিগন্ত
প্রযুক্তিগত সক্ষমতার বাইরেও এই মডেলের দার্শনিক এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরেছে ফোর্বস।
“জিপিটি ৫.২ শুধু মাত্র একটি সফটওয়্যার আপডেট নয়, এটি এআই এর বিস্ময় এবং প্রতিশ্রুতির এক মূর্ত প্রতীক।”
ফোর্বস আরও উল্লেখ করে, এই মডেলে এমন কিছু ইমার্জেন্ট বিহেভিয়ার বা স্বতঃস্ফূর্ত আচরণ লক্ষ্য করা গেছে- যা এআই গবেষকদের জন্যও বিস্ময়কর। এটি মানুষের চিন্তার ধরনকে আরও নিখুঁতভাবে নকল করতে পারে।
জিপিটি ৫.২ প্রমাণ করে যে, অদূর ভবিষ্যতে এআই নিয়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর লড়াই আরও তীব্র হবে। তবে শেষ পর্যন্ত লাভবান হচ্ছেন সাধারণ ব্যবহারকারী এবং প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতারা। তারা প্রতিনিয়ত পাচ্ছেন উন্নততর সব টুল।
ফরচুনের মতে, এই মুহূর্তে জিপিটি ৫.২-এর মাধ্যমে ওপেনএআই তাদের হারানো সিংহাসন অনেকটাই পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।