নূরুল কবীরের যে মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাল জামায়াত

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের মুক্তবাক শিরোনামের একটি টক-শোতে রবিবার নিউ এইজের সম্পাদক নূরুল কবীর মন্তব্য করেছেন, “জামায়াতে ইসলামী এবং তার সহযোগী বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ, হাদির নামে হাদির চিন্তা চেতনার বিরুদ্ধে গিয়ে পত্র-পত্রিকার অফিসগুলিতে সহিংসতা করছেন। বাংলাদেশের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত যত প্রগতিশীল চিন্তা আছে, যত গণতন্ত্রপরায়ণ চিন্তা চেতনা আছে, এগুলো বিকাশের ক্ষেত্রে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করেছে, তাদের ওপর আক্রমন করছে। এবং সবচেয়ে বড় কথা বলছে নির্বাচন তাদের প্রয়োজন নাই।”

তার এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোমবার এক বিবৃতিতে “ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির নাম ব্যবহার করে জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী বুদ্ধিবৃত্তিক মহল পত্রিকা অফিসে সহিংসতা চালাচ্ছে, তার এমন অভিযোগ অসত্য ও অন্যায্য। জামায়াতে ইসলামী কখনোই এ ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত নয় এবং ভবিষ্যতেও জড়াবে না।”

নূরুল কবীর ওই টক-শোতে বলেন, “জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের বন্ধুদের কেন নির্বাচন প্রয়োজন নাই এটা আমরা জানি। একই সঙ্গে জানি, অধ্যাপক ইউনূসের সরকারের মধ্যে এখনও পর্যন্ত জোর করে নির্বাচনকে পিছিয়ে দিয়ে ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করে করে এ রাষ্ট্র ক্ষমতা উপভোগ করবার যে আনন্দ, এইটা পাবার জন্যে, এই জামায়াতে ইসলামীসহ, যতোই তারা উপর দিয়ে বলুক তারা ক্ষমতায় চলে যাবে, তাদের ঠিকই অ্যাসেসমেন্ট আছে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। ফলে তাদের প্রস্তুতির জন্য আরও সময় দরকার।”

এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামী বিবৃতিতে বলেছে, ‘জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা ভোগ করতে চায়’, জনাব নূরুল কবীরের এ মন্তব্যও বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতি বিহীন।

গত ১৯এ ডিসেম্বর শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলার সময় আটকে পড়া সংবাদকর্মীদের পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীদের একটি দল নূরুল কবীরকে ঘিরে জটলা তৈরি করে আওয়ামী লীগের দালাল বলে চিৎকার করে।

কেউ কেউ তার শার্টের কলার ধরে টানতে থাকে। একাধিক দুর্বৃত্ত কয়েক দফায় তার ওপর হামলার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।