বলিউডের ‘ধুরন্ধর’ নিয়ে ভারত-পাকিস্তানে বিতর্কের ঝড়

কাঠমান্ডু থেকে দিল্লি যাচ্ছিলো ভারতীয় বিমান। যাত্রী ১৭৬ জন আর ১৫ জন ক্রু। ক্যালেন্ডারের পাতায় সেদিন ২৪শে ডিসেম্বর, ১৯৯৯ সাল।

বিমানে থাকা সবাইকে অপহরণ করে কাশ্মীরভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হারকাত-উল-মুজাহিদিন এর সদস্যরা। এই সত্য ঘটনা নিয়েই বলিউডে তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র ‘ধুরন্ধর’।

মুক্তির পর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে সিনেমাটি নিয়ে। চলচ্চিত্রটি ভারত-পাকিস্তানের বহুদিনের বৈরিতাকে নতুন করে উসকে দিয়েছে। দুই দেশেরই দর্শক-সমালোচকরা করছেন বাহাস। প্রশ্ন উঠেছে ইতিহাস ও এর উপস্থাপন নিয়ে।

গত ৫ই ডিসেম্বর মুক্তি পায় ছবিটি। সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি দৈর্ঘ্যের ‘ধুরন্ধর’ সিনেমাটি ফ্র্যাঞ্চাইজির  প্রথম পর্ব। দ্বিতীয় পর্ব মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের  মার্চে। প্রথম পর্ব মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় ঝড়। শুধু বক্স অফিসেই নয়, সমালোচকদেরও নজর কেড়েছে একাধিক তারকা সম্বলিত এই চলচ্চিত্রটি। 

আঞ্চলিক ভূরাজনীতির কয়েকটি ঘটনা আর সন্ত্রাসবাদী হামলার পটভূমিতে আট ভাগে তৈরি সিনেমাটি মূলত গোপন গোয়েন্দা অভিযানের টানটান গল্প। ১৯৯৯ সালের কান্দাহার বিমান ছিনতাই, ২০০১ সালের ভারতীয় পার্লামেন্টে হামলা বা ২০০৮ সালের মুম্বাইতে সন্ত্রাসী হামলাও আছে সিনেমায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাকশনে ভরপুর এই থ্রিলার সিনেমা বক্স অফিসে যেমন ঝড় তুলেছে, তেমনি এর ‘অতি-জাতীয়তাবাদী’ বার্তা এবং ঐতিহাসিক ঘটনার বিতর্কিত উপস্থাপনা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে।

আদিত্য ধর পরিচালিত চলচ্চিত্রটিতে বলিউড তারকা রণবীর সিং ভারতীয় গুপ্তচর ‘হামজা’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি পাকিস্তানের করাচিতে একটি বিপজ্জনক মিশনে যান।

সিনেমাটিতে করাচির অপরাধী ‘লিয়ারি গ্যাং’ নেটওয়ার্ক, সন্ত্রাসবাদের অন্ধকার জগৎ এবং ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার গল্প উঠে এসেছে। পুরো পটভূমিতে আছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা।

বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলচ্চিত্রটিতে পরিচালক আদিত্য ধর রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক বিষয়বস্তু যেভাবে তুলে ধরেছেন তা নিয়েই মূলত বিতর্ক। এর আগেও এমন সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল আদিত্যকে।

আদিত্য ধরের প্রথম সিনেমার নাম ‘উরি: দ্য সার্জিকাল স্ট্রাইক’। সেই সিনেমারও প্রতিপাদ্য ছিল- ২০১৬ সালে পাকিস্তানের ওপর চালানো বিমান হামলা। সেই সিনেমাও বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল এবং জাতীয় পুরস্কারও জিতেছিল।

মাত্র দুটি সিনেমা পরিচালনা করলেও চলচ্চিত্র অঙ্গনের সঙ্গে আগে থেকেই যুক্ত আদিত্য। গত বছর আর্টিকেল ৩৭০ সিনেমার সহলেখক ও সহপ্রযোজক তিনি। এই সিনেমাটির গল্প নিয়েও বিতর্ক আছে।

২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ স্ট্যাটাস বাতিলের গল্পই এর উপজীব্য। এই সিনেমার জন্য খোদ নরেন্দ্র মোদী তার প্রশংসা করেছেন। 

ধুরন্ধর সিনেমার তারকারা

ভারতেই সমালোচনা

সমালোচকদের অভিযোগ, ধুরন্ধর সিনেমাটি সিনেমাটি বিনোদনের আড়ালে একটি অতি-জাতীয়তাবাদী এবং একপেশে রাজনৈতিক বার্তা প্রচার করছে। জটিল ঐতিহাসিক ও ভূরাজনৈতিক সংঘাতকে এটি কেবল 'ভালো বনাম খারাপ' দৃষ্টিকোণ থেকে দেখিয়েছে।

চলচ্চিত্র সমালোচক উদয় ভাটিয়া বলেন, ধুরন্ধর একটি থ্রিলার জনরার সিনেমা, যার মধ্যে উগ্র জাতীয়তাবাদ মিশে আছে। এর আগেও এই ধরনের সিনেমা হয়েছে- এটা তারই ধারাবাহিকতা।

তিনি বলেন, 'ধুরন্ধর' ছবিতে পাকিস্তানকে এমনভাবে দেখানো হয়েছে যেন তা একটি আইনশৃঙ্খলাহীন, এলাকা, যা সবসময় ভারতের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে। তিনি আরও মনে করেন, এই ছবিটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার বিরোধকে ধর্মের দিক থেকে তুলে ধরেছে।

এ ছাড়া ছবিতে থাকা সহিংসতা, লম্বা সময়ের নির্যাতন দৃশ্য এবং শ্বাসরুদ্ধকর চিত্রায়ণকে সমালোচকরা অস্বস্তিকর এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে উসকানিমূলক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

ভারতে বিষয়গুলো নিয়ে সমালোচনা করায় তোপের মুখে পড়েছেন বিশ্লেষকরা। ‘দ্য ফিল্ম ক্রিটিকস গিল্ড’ হলো ভারতে চলচ্চিত্র সমালোচকদের একটি সমিতি বা সংস্থা।

এটি ভারতের প্রথম এবং একমাত্র রেজিস্টার্ড সংস্থা। এর সঙ্গে যুক্ত আছেন দেশটির জাতীয় স্তরে পেশাদার চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিকরা।

‘ধুরন্ধর’ সিনেমা নিয়ে সমালোচনা করায় তাদের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিও প্রকাশ করে। তারা ‘ধুরন্ধর’কে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্র সমালোচকদের হয়রানির তীব্র নিন্দা জানায়।

এই বিতর্কে যুক্ত হয়েছেন বলিউড সুপারস্টার হৃত্বিক রোশন। সিনেমাটি নিয়ে তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যান্ডেলে বলেন, “আমি হয়তো ছবিটির রাজনীতির সঙ্গে একমত নই এবং বিশ্বের নাগরিক হিসেবে আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের যে দায়িত্ব থাকা উচিত, তা নিয়ে তর্ক করতে পারি। তবুও, একজন চলচ্চিত্র শিক্ষার্থী হিসেবে আমি যে এটিকে পছন্দ করেছি এবং এর থেকে শিখেছি, তা অস্বীকার করতে পারছি না। দারুণ!”

কিন্তু তার  এই মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এক পর্যায়ে পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন কৃষখ্যাত এই তারকা। এরপর  ইনস্টাগ্রাম ও এক্স- উভয় একাউন্ট থেকেই পোস্টটি এডিট করে ছবিটির ‘রাজনীতির সঙ্গে একমত নই’- অংশটি বাদ দেন তিনি। 

এক্স হ্যান্ডেলে দেয়া বলিউড অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের পোস্ট

তীব্র প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানে

অনেক দশক ধরেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক শীতল। ২০১৯ সাল থেকে পাকিস্তানে ভারতীয় সিনেমা  নিষিদ্ধ। ভারতেও পাকিস্তানি সিনেমা প্রদর্শিত হয় না। তবে এরপরও পাকিস্তানে বলিউডের সিনেমা অত্যন্ত জনপ্রিয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। সিনেমা দেখতে ভিপিএন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাকিস্তানি দর্শকরা। তাই আলোচিত সিনেমা ধুরন্ধর দেখে ফেলেছে অনেক পাকিস্তানি।

মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে কেন ধুরন্ধর চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি এই প্রসঙ্গ তুলে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য তারিক আনোয়ার মন্তব্য করেছেন, "যখন এতগুলো ইসলামি দেশ ছবিটা তাদের দেশে নিষিদ্ধ করেছে, তখনতো আমাদের ভেবে দেখা উচিত কী আছে এটার মধ্যে?"

সিনেমাটি নিয়ে পাকিস্তানিদের মধ্যেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে পাকিস্তানি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নিজেদের ইতিহাস তুলে ধরতে পারছে না পাকিস্তান। বলিউড নিজেদের মতো করে ইতিহাস উপস্থাপন করছে। 

করাচির নেতিবাচক চিত্রায়ণ এবং ঐতিহাসিক ভুল তথ্য তুলে অনেকে সমালোচনা করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, লিয়ারি গ্যাংকে যারা মূলত স্থানীয় চাঁদাবাজি ও মাদক পাচারের সাথে জড়িত তাদের ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের সঙ্গে যুক্ত করে দেখানো হয়েছে।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকেও নিন্দা জানানো হয়েছে সিনেমাটির। ‘ধুরন্ধর’-কে ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণার আরও একটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সিন্ধুর তথ্যমন্ত্রী শারজিল ইনাম মেমন। তিনি বলেন,  ধুরন্ধর চলচ্চিত্রে করাচির লিয়ারি এলাকার প্রকৃত চিত্র উঠে আসেনি। 

পাকিস্তান পিপলস পার্টিও (পিপিপি)  ছবিটির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। একটি দৃশ্যে পিপিপি‘র সমাবেশ, দলীয় পতাকা এবং নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর কাল্পনিক ছবি ব্যবহার নিয়ে আপত্তি তুলেছে তারা। তারা বলছে, এতে করে পিপিপিকে জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীল হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে।  

ইতোমধ্যে করাচির একটি সেশন আদালতে ‘ধুরন্ধর’-এর পরিচালক ও প্রযোজকের বিরুদ্ধে মামলা করার আবেদন আবেদনটি করেছে পিপিপির একজন সদস্য। আবেদনের প্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য করাচির দারাকশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন।

'দ্য আপস্টেয়ার্স ওয়াইফ: অ্যান ইন্টিমেট হিস্টরি অফ পাকিস্তান' বইটির রচয়িতা ও আল জাজিরা আমেরিকা, ডিসেন্ট, গার্নিকা সহ আরও বহু প্রকাশনার নিয়মিত লেখক রাফিয়া জাকারিয়া পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম 'ডন-এ' লেখা এক কলামে প্রশ্ন করেন, একসময় ধর্মনিরপেক্ষ এবং প্রশংসিত গণতন্ত্র হিসেবে পরিচিত ভারত কীভাবে প্রচারণা এবং ঐতিহাসিক মিথ্যার এত গভীর খাদে পড়ল? 

তবে পাকিস্তানে ‘ধুরন্ধর’ চলচ্চিত্র নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়াও আছে। ডন’কে পাকিস্তানের কনটেন্ট ক্রিয়েটর বিলাল হাসান, বলেন, “এটা খুবই, খুবই ভালোভাবে তৈরি; অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলি দুর্দান্ত; অক্ষয় খান্নার অভিনয় খুব ভালো ছিল। আমি ছবিটি নিয়ে মন খারাপ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি, গানগুলোও সত্যিই ভালো।”

তিনি উল্লেখ করেন যে ছবিতে পাকিস্তানি রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিগ্রস্ত দেখানো হয়েছে "যা তারা সত্যিই।"

সাংবাদিক জাভেরা সিদ্দিকী ডনকে বলেন, ধুরন্ধর নেতিবাচক প্রচারণার অংশ হয়ে থাকতে পারে, তবে এখানে  বালুচ সংস্কৃতিকে একটু ভিন্ন রূপে উপস্থাপন করেছে। এমনটি  সচারচর দেখা যায় না।  তিনি বলেন, “সিনেমাটিতে একটি বালুচ নাচের দৃশ্য এমন যত্নের সাথে ধারণ করেছে, যার জন্য আমাদের নিজস্ব নাটকগুলিতে খুব কমই জায়গা থাকে।”

জাতীয়তাবাদ উসকানির ধারাবাহিক প্রবণতা

বিবিসি বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বলিউডে উগ্র জাতীয়তাবাদী এসব সিনেমা তৈরির ধারাবাহিকতা দেখা গেছে। বক্স অফিসেও সাফল্য পাচ্ছে সিনেমাগুলো। তবে বরাবরই ইতিহাসকে উপজীব্য করে এই   তৈরি করা সিনেমার গল্প নিয়ে বিতর্ক থেকে যাচ্ছে। এর আগে এমন সমালোচনা হয়েছিল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ এবং ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়েও। ইতিহাসের চিত্রায়ন এবং রাজনৈতিক বার্তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক থাকলেও বাণিজ্যিকভাবে দু’টি সিনেমাই সফল ছিল। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্পাই থ্রিলারগুলিও দীর্ঘদিন ধরে প্রধান ভূমিকায় রয়েছে, যেখানে প্রায়শই পাকিস্তানকে ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসাবে চিত্রিত করা হয় যা দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশকের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার একটি পরিচিত ধারা।

চলচ্চিত্র নির্মাতাদের যুক্তি, তাদের ছবিগুলো দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয় কারণ তারা ঐতিহাসিক ঘটনা এবং সমসাময়িক বিষয়গুলিকে তুলে ধরে যা মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমা প্রায়শই এড়িয়ে যায় অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক পরিচয়, জাতীয় স্মৃতি এবং সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে স্পর্শকাতর, বিভাজন সৃষ্টিকারী বিষয়।

‘দ্য কেরালা স্টোরি’-এর পরিচালক সুদীপ্ত সেন গত বছর বিবিসিকে বলেছিলেন, “আমার চলচ্চিত্রগুলি রাজনৈতিক নয়, বরং মানব স্বার্থের।”

বিতর্ক ছাপিয়ে 'ধুরন্ধর' ভারতে দর্শক টানছে এবং এটি বছরের অন্যতম বড় হিট হতে পারে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' এবং 'দ্য কেরালা স্টোরি'র মতো জাতীয়তাবাদী ব্লকবাস্টারগুলির যে ঢেউ শুরু হয়েছে, 'ধুরন্ধর' সেই ধারাই বজায় রেখেছে। অনেক দর্শক অবশ্য রাজনৈতিক বিতর্ককে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তারা ছবিটি নিছক বিনোদনের জন্য দেখেছেন। তবে সমালোচকরা মনে করছেন, এটি একটি 'পক্ষপাতদুষ্ট ও একটি বিশেষ পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি'কে দক্ষতার সঙ্গে দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

(বিবিসি, ডন, দ্য প্রিন্ট এর তথ্য অবলম্বনে)