বাংলাদেশে থাকা নাগরিকদের সতর্ক করেছে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ভ্রমণের ক্ষেত্রেও পরামর্শ মেনে চলার বিষয় মনে করিয়ে দিয়েছে দেশ দুইটি।
২০এ ডিসেম্বর শুক্রবার নিজেদের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজের এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তার পরিবার, বন্ধু ও সমর্থকদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছে।
ভিন্ন একটি পোস্টে গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ওসমান হাদির মরদেহ দেশে ফেরা ও তার জানাজার নামাজ ও স্থান সম্পর্কে জানিয়ে নাগরিকদের ‘সতর্ক থাকতে অনুরোধ’ করেছে মার্কিন দূতাবাস। পোস্টে তারা লিখেছে, “মনে রাখতে হবে, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে আয়োজিত সমাবেশও কখনও কখনও সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এবং সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। তাই বিক্ষোভ এড়িয়ে চলুন এবং যেকোনও বড় জনসমাবেশের আশপাশে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন।”
ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ব্রিটিশ হাইকমিশন। ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজের পোস্টে তারা লিখেছে, “তরুণ নেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই কঠিন সময়ে তার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”
আরেকটি পোস্টে নিজের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য সর্বশেষ নির্দেশিকা মনে করিয়ে দেয় যুক্তরাজ্য। তাদের সর্বশেষ ভ্রমণ নির্দেশিকায় বলা হয়, “বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা রয়েছে। জনসমাগমস্থল, রেস্তোরাঁ, গণপরিবহণ, ধর্মীয় উপাসনালয় এবং রাজনৈতিক সমাবেশের মতো জায়গাগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় আছে এবং তারা বিশেষ করে ভিন্নমতাবলম্বী বা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু করতে পারে।”
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলা হয়েছে, “২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল। রাজনৈতিক সমাবেশ বা বিক্ষোভ যেকোনও সময় সহিংস হয়ে উঠতে পারে।’